কুমড়ার বীজ: ছোট বীজে লুকানো বিশাল স্বাস্থ্যগুণ

কুমড়ার বীজ: ছোট বীজে লুকানো বিশাল স্বাস্থ্যগুণ

অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি
অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি

প্রকাশিত: ০৭:৫০ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

প্রাতঃকালের নাস্তায় ড্রাই ফুড হিসেবে কুমড়ার বীজ খাওয়ার চল জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। পুষ্টিবিদরা বলছেন, প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ১৫ থেকে ২০টি কুমড়ার বীজ খাওয়া অত্যন্ত উপকারী। এই ছোট্ট বীজগুলোতে রয়েছে অসংখ্য পুষ্টিগুণ, যা শরীরের জন্য ‘পাওয়ার হাউস’ হিসেবে কাজ করে। প্রতি ১০০ গ্রাম কুমড়ার বীজে প্রায় ৫৬০ ক্যালোরি পাওয়া যায়। এছাড়া এতে আছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, কপার, ভিটামিন ই, আয়রন এবং ফাইবার।

মিরপুর ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের পুষ্টিবিদ শরীফা আক্তার শাম্মী বলছেন, “সুস্থ ব্যক্তির প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০টি কুমড়ার বীজ খাওয়া উচিত। এতে শরীর পুষ্টিতে সমৃদ্ধ থাকে এবং সারাদিনের কর্মক্ষমতা বাড়ে।”

খালি পেটে কুমড়ার বীজ খাওয়ার ১০ উপকারিতা হলো—

১. সম্পূর্ণ পুষ্টি: প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ফাইবার, ভিটামিন ই এবং মিনারেল সমৃদ্ধ।
২. হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য: ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ম্যাগনেসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
৩. ইমিউন সিস্টেম মজবুত: জিঙ্ক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
৪. হাড় মজবুত রাখে: ম্যাগনেসিয়াম ও ফসফরাস হাড়ের গঠন ভালো রাখে।
৫. ভালো ঘুম ও মানসিক স্বাস্থ্য: ট্রিপ্টোফ্যান সেরোটোনিন তৈরিতে সাহায্য করে।
৬. বার্ধক্য রোধ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট: ভিটামিন ই এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রি র‍্যাডিক্যাল থেকে রক্ষা করে।
৭. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ: কম গ্লাইকেমিক ইনডেক্স রক্তে গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
৮. পেটের স্বাস্থ্য: ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
৯. কোলেস্টেরল কমানো: স্বাস্থ্যকর ফ্যাট কোলেস্টেরল কমাতে এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
১০. চুল ও ত্বকের যত্ন: চুল ও ত্বককে সুস্থ রাখে।

ড্রাই ফুড হিসেবে কুমড়ার বীজ খাওয়ার উপায়:
কুমড়া থেকে বীজ আলাদা করে প্লেটে ছড়িয়ে রোদে শুকাতে দিন। চাইলে চুলার নিচে বা হালকা তেলে ভেজে খাওয়াও যায়। সকাল ও বিকেলের নাস্তায় খাওয়া উপকারী। তবে অ্যালার্জির সমস্যা থাকলে খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে। অত্যধিক ক্যালোরি থাকার কারণে দিনে ১৫–২০টির বেশি খাওয়া উচিত নয়।

কুমড়ার বীজ খাওয়াই শরীরের জন্য এক প্রাকৃতিক ও সুপারফুডের মতো কাজ করে। এটি নিয়মিত খাদ্যাভ্যাসে যুক্ত করলে দেহ ও মন দুইই হবে চাঙ্গা।

বিজ্ঞাপন