রবিবার , ১০ আগস্ট, ২০২৫ | ২৬ শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:০০ ১০ আগস্ট ২০২৫
কুষ্টিয়ার কুমারখালীর বিভিন্ন এলাকায় চতুর্থ দফার কর্মসূচীর অংশ হিসেবে শনিবার বিকেলে কেন্দ্রীয় কৃষকদলের নির্বাহী সদস্য হাফেজ মঈনুদ্দিন শেখ ব্যাপক পথসভা ও গণসংযোগ পরিচালনা করেন। তিনি স্থানীয় জনগণের সাথে সরাসরি কথা বলে তাদের নানা সমস্যা শুনে সমাধানের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
উপজেলার তরুণমোড় থেকে শুরু হওয়া গণসংযোগ কর্মসূচিতে তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা লিফলেট বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। এরপর কুমারখালী বাসস্ট্যান্ড, আলাউদ্দিন নগর, বেলগাছি বাজার, শিলাইদহ হয়ে কল্যাণপুর পর্যন্ত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে লিফলেট বিতরণ ও পথসভা করেন।
গণসংযোগে অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে আলাপচারিতায় মঈনুদ্দিন জানান, প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ যেন রাজনীতির বহির্ভূত না থাকে সেজন্যই তিনি সরাসরি তাদের কাছে পৌঁছানোর উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমাদের লক্ষ্য জনগণের সর্বাত্মক উন্নয়ন। তাঁতশিল্প ও কৃষিখাতের উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে যাতে এখানকার মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন সম্ভব হয়। কুমারখালী-খোকসা এলাকায় জনপ্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেলে শহীদ আবরার ফহাদ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শিক্ষাক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করা হবে।”
তিনি আরও বলেন, “বিএনপির ৩১ দফা লিফলেটের মাধ্যমে দেশের চলমান রাজনৈতিক অবস্থা ও আগামী নির্বাচনের গুরুত্ব সম্পর্কে মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির চেষ্টা করছি। আমরা চাই একটি স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। তাই প্রত্যেক ভোটারকে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিতে আহ্বান জানাচ্ছি।”
বিষয়টি প্রসঙ্গে মঈনুদ্দিন বলেন, “বর্তমান আন্তর্বর্তী সরকারের ঘোষিত নির্বাচনের তারিখ নিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক গোষ্ঠী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে, কিন্তু তারা জানে বিএনপির প্রতি দেশের মানুষের আস্থা দুর্বল নয়। ষড়যন্ত্রে কেউ আমাদের থামাতে পারবে না। আমাদের প্রতিজ্ঞা দেশ ও মানুষের কল্যাণে নিবেদিত থেকে কাজ করা।”
এসময় তিনি জাতির সবাইকে একত্রিত হয়ে মতপার্থক্য ভুলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “দেশের উন্নয়ন ও রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতার জন্য রাজনীতি করতে হবে ঐক্যবদ্ধভাবে। বিভেদের রাজনীতি নয়, সমৃদ্ধির রাজনীতি করতেই হবে। আমরা বিশ্বাস করি, একসঙ্গে হলে আমরা আমাদের লক্ষ্য অর্জন করতে পারব।”
গণসংযোগ শেষে স্থানীয় নেতাকর্মীরা বলেন, মঈনুদ্দিনের এই পদক্ষেপ প্রত্যন্ত এলাকার মানুষের মনোবল ও রাজনৈতিক সচেতনতা বাড়াবে এবং আগামী নির্বাচনে সক্রিয় ভূমিকা পালনে সহায়ক হবে।
বিজ্ঞাপন