Sorry, you have been blocked

You are unable to access thailand-u31.com

Why have I been blocked?

This website is using a security service to protect itself from online attacks. The action you just performed triggered the security solution. There are several actions that could trigger this block including submitting a certain word or phrase, a SQL command or malformed data.

What can I do to resolve this?

You can email the site owner to let them know you were blocked. Please include what you were doing when this page came up and the Cloudflare Ray ID found at the bottom of this page.

গুম, গোপন আটক ও নির্যাতনের অভিযোগে বাংলাদেশে ২৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের: এইচআরডব্লিউ

গুম, গোপন আটক ও নির্যাতনের অভিযোগে বাংলাদেশে ২৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের: এইচআরডব্লিউ

গুম, গোপন আটক ও নির্যাতনের অভিযোগে বাংলাদেশে ২৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের: এইচআরডব্লিউ

অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি
অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি

প্রকাশিত: ০৭:০১ ১০ অক্টোবর ২০২৫

বাংলাদেশে গুম, গোপন আটক ও নির্যাতনের অভিযোগে ২৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের করাকে ন্যায়বিচারের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে অভিহিত করেছে নিউইয়র্কভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)।
বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে সংস্থাটি বলেছে, “এটি ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর জন্য ন্যায়বিচারের প্রথম পদক্ষেপ।”

প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের পক্ষ থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ বেশ কয়েকজন সাবেক ও বর্তমান সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পরপরই।

এইচআরডব্লিউ-এর এশিয়া অঞ্চলের উপপরিচালক মীনাক্ষী গাঙ্গুলি তার মন্তব্যে বলেন, “২০১৭ সালে যখন হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বাংলাদেশে গোপন আটক ও গুমের ঘটনা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল, তখন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সেটিকে ‘অপপ্রচার’ বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন, নিখোঁজ ব্যক্তিরা হয় অপরাধী নয়তো প্রতারক বা ঋণখেলাপী।”

সংস্থাটি জানায়, ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত শেখ হাসিনা সরকারের ১৫ বছরের শাসনামলে বিচারবহির্ভূত হত্যা, নির্যাতন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দমনসহ অসংখ্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে।
গত বছরের আগস্টে ছাত্র ও জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তিনি ও আসাদুজ্জামান খানসহ একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান।

পরবর্তীতে শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর গঠন করে ‘গুম সংক্রান্ত তদন্ত কমিশন’।
এই কমিশনের কাছে এখন পর্যন্ত প্রায় ১,৮৫০টি অভিযোগ এসেছে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখা গেছে, তিন শতাধিক ভুক্তভোগীকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সম্প্রতি এই কমিশন প্রকাশ করেছে একটি ডকুমেন্টারি— ‘আনফোল্ডিং দ্য ট্রুথ’, যেখানে ভয়াবহ নির্যাতনের চিত্র ও ভুক্তভোগীদের বয়ান প্রকাশ পেয়েছে।

গত ৯ অক্টোবর গুম ও নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত ২৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট ঘোষণা করা হয়। এই অভিযুক্তদের মধ্যে বেশ কয়েকটি ঘটনাই পূর্বে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের প্রতিবেদনে নথিভুক্ত ছিল।

এর মধ্যে অন্যতম মীর আহমদ বিন কাসেম (আরমান)— যাকে ২০১৬ সালে গুম করা হয় এবং গোপন সামরিক গোয়েন্দা হেফাজতে টানা আট বছর আটক রাখা হয়।
গুম হওয়ার আগে নিজের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে একটি চিঠি লিখেছিলেন তিনি। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর মুক্তি পান আরমান, বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন এবং নিজের অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি বই লিখেছেন বলেও জানিয়েছেন।

প্রতিবেদনের শেষাংশে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বাংলাদেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়, ন্যায্য বিচার প্রক্রিয়া নিশ্চিত করা এবং মৃত্যুদণ্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ড অনুসরণ করার জন্য।

সংস্থাটি বিশ্বাস করে, এই অভিযোগ দায়ের বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থায় একটি ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে, যেখানে প্রথমবারের মতো গুম ও নির্যাতনের মতো গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের জবাবদিহিতা শুরু হলো।

বিজ্ঞাপন

https://moreshopbd.com/