Sorry, you have been blocked

You are unable to access thailand-u31.com

Why have I been blocked?

This website is using a security service to protect itself from online attacks. The action you just performed triggered the security solution. There are several actions that could trigger this block including submitting a certain word or phrase, a SQL command or malformed data.

What can I do to resolve this?

You can email the site owner to let them know you were blocked. Please include what you were doing when this page came up and the Cloudflare Ray ID found at the bottom of this page.

নেতানিয়াহু-হানিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার পরোয়ানার আবেদনকে সমর্থন ফ্রান্সের

নেতানিয়াহু-হানিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার পরোয়ানার আবেদনকে সমর্থন ফ্রান্সের

নেতানিয়াহু-হানিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার পরোয়ানার আবেদনকে সমর্থন ফ্রান্সের

মোরনিউজ ডেস্ক
মোরনিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:০৫ ২১ মে ২০২৪

গাজায় যুদ্ধাপরাধের উসকানি, পরিকল্পনা ও তা সংঘটনে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু, হামাসের প্রধান নির্বাহী ইসমাইল হানিয়াসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদনকে সমর্থন জানিয়েছে ফ্রান্স।

জাতিসংঘের সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর সংস্থা নিরাপত্তা পরিষদের প্রথম স্থায়ী সদস্য  এবং ইউরোপের প্রথম দেশ হিসেবে আইসিসির শীর্ষ প্রসিকিউটর করিম আসাদ আহমেদ খানের (করিম খান) এ পদক্ষেপকে সমর্থন জানাল ফ্রান্স। মঙ্গলবার (২১ মে ) এ সম্পর্কিত এক বিবৃতিতে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন গাজায় চলমান ‘জবাবদিহিহীনতার’ বিরুদ্ধে লড়াইয়ের একটি অংশ।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ফ্রান্স সবসময়ই আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের স্বাধীনতা, বিশ্বাসযোগ্যতা এবং জবাবদিহিহীনতার বিরুদ্ধে লড়াইকে সমর্থন করে। সেই সঙ্গে ফ্রান্স আশা করে, এ ইস্যুতে প্রাপ্ত যাবতীয় সাক্ষ্য-প্রমাণ যাচাই ও অনুপুঙ্খ বিশ্লেষণের পরই আইসিসি পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।’

মূলত, সম্প্রতি আইসিসিতে গাজায় যুদ্ধাপরাধের উসকানি, পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্ত, হামাসের প্রধান নির্বাহী ইসমাইল হানিয়া, শীর্ষ নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ার এবং হামাসের সামরিক শাখা আল কাসেম ব্রিগ্রেডের শীর্ষ কমান্ডার মোহাম্মেদ আল মাসরি ওরফে দেইফ আল মাসরির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন জমা পড়েছে ।
আবেদনটি আইসিসির শীর্ষ প্রসিকিউটর করিম আসাদ আহমেদ খানের (করিম খান) দপ্তর থেকে করা হয়েছে । সোমবার এক বিবৃতিতে এ প্রসঙ্গে করিম খান বলেন, গত ৭ মাস ধরে গাজা উপত্যকার বাসিন্দারা যে ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন, তার জন্য নেতানিয়াহু-হানিয়াসহ এই ৫ জন মূলত দায়ী। গত ৭ মাসে গাজায় যত যুদ্ধাপরাধ হয়েছে, সেসবের জন্যও দায়ী এই ৫ জন। গ্রেপ্তারি পরোয়ানার জন্য আবেদনের প্রধান কারণ এটিই।
বিশ্বের যে ১২৪টি রাষ্ট্র আইসিস নামের স্থায়ী বৈশ্বিক আদালতকে স্বীকৃতি দিয়েছে, সেই রাষ্ট্রগুলোর তালিকায় ইসরায়েলের নাম নেই। তেমনি নাম নেই যুক্তরাষ্ট্র, চীন এবং রাশিয়ারও। তাই ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া এবং আইসিসিকে স্বীকৃতি দেয়নি এমন সব দেশে নেতানিয়াহু, হানিয়া এবং বাকি তিন জনের কোনো ঝুঁকি নেই।

তাছাড়া আইসিসি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করলেও তা বাস্তবায়নের জন্য শক্তিপ্রয়োগের ক্ষমতা আদালতটির নেই। তবে মূল সমস্যা হলো, একবার যদি আইসিসি পরোয়ানা জারি করে— তাহলে তা প্রত্যাহারের আগ পর্যন্ত এই আদালতকে স্বীকৃতি দেওয়া দেশগুলোতে সফর করা ব্যাপক ঝুঁকিপূর্ণ হবে নেতানিয়াহু, হানিয়া এবং তালিকার অপর তিন জনের জন্য। কারণ সেক্ষেত্রে সেসব দেশের সরকার চাইলেই আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানাকে আমলে নিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করতে পারে। প্রসঙ্গত, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের অধিকাংশ দেশ আইসিসিকে স্বীকৃতি দিয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর গাজার উত্তরাঞ্চলীয় ইরেজ সীমান্তে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ইসরায়েলি ভূখণ্ডে প্রবেশ করে হামাস এবং তার মিত্রগোষ্ঠী প্যালেস্টাইনিয়ান ইসলামি জিহাদের ১ হাজারের বেশি সশস্ত্র সেনা। ইসরায়েলি ভূখণ্ডে ঢুকে নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ মানুষকে হত্যো করে তারা, সেই সঙ্গে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় ২৪২ জনকে।

অতর্কিত সেই হামলার জবাবে এ দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। চলমান সেই অভিযানে গত ৭ মাসে গাজায় নিহত হয়েছেন ৩৫ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি, আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৭৯ হাজার এছাড়াও হতাহতদের ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু।

সূত্র : রয়টার্স

বিজ্ঞাপন