Sorry, you have been blocked

You are unable to access thailand-u31.com

Why have I been blocked?

This website is using a security service to protect itself from online attacks. The action you just performed triggered the security solution. There are several actions that could trigger this block including submitting a certain word or phrase, a SQL command or malformed data.

What can I do to resolve this?

You can email the site owner to let them know you were blocked. Please include what you were doing when this page came up and the Cloudflare Ray ID found at the bottom of this page.

ইউরেনাসের চাঁদের পৃষ্ঠে ফাটল! বিজ্ঞানীদের চমকপ্রদ তথ্য প্রকাশ

ইউরেনাসের চাঁদের পৃষ্ঠে ফাটল! বিজ্ঞানীদের চমকপ্রদ তথ্য প্রকাশ

ইউরেনাসের চাঁদের পৃষ্ঠে ফাটল! বিজ্ঞানীদের চমকপ্রদ তথ্য প্রকাশ

অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি
অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি

প্রকাশিত: ০৫:৫৬ ১০ অক্টোবর ২০২৫

আমাদের সৌরজগতের সপ্তম গ্রহ ইউরেনাসের চাঁদ এরিয়েল নিয়ে নতুন এক বিস্ময়কর তথ্য প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা। তাদের দাবি, এই চাঁদের অভ্যন্তরে একসময়ে ছিল এক বিশাল ও গভীর মহাসাগর, যার গভীরতা ছিল প্রায় ১৬০ কিলোমিটার বা ১০০ মাইল।

সম্প্রতি প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়েছে, এরিয়েলের অতীত কক্ষপথ অনেকটাই প্রসারিত ছিল। এর ফলে চাঁদের ভেতরে ও বাইরে প্রবল চাপ তৈরি হয়, যা পৃষ্ঠে ফাটলের জন্ম দেয়। মহাকাশযান ভয়েজার–২–এর তোলা ছবিগুলো বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা দেখতে পান, প্রাচীন ক্রেটারের মাঝে লম্বা উপত্যাকাসদৃশ ফাটল তৈরি হয়েছে—যা স্পষ্টভাবে নির্দেশ করে, চাঁদের অভ্যন্তরে বড় ধরনের ভূতাত্ত্বিক পরিবর্তন ঘটেছিল।

গবেষণায় কম্পিউটার মডেলিং ব্যবহার করে দেখা যায়, এরিয়েলের কক্ষপথের উৎকেন্দ্রিকতা ছিল প্রায় ০.০৪। অর্থাৎ কক্ষপথ পুরোপুরি গোলাকার ছিল না, বরং সামান্য ডিম্বাকৃতির। এই কারণে ইউরেনাসকে প্রদক্ষিণের সময় চাঁদটি বারবার প্রবল জোয়ার–ভাটার শক্তির সম্মুখীন হতো। সেই শক্তিই চাঁদের ভেতরের বরফে ফাটল ধরায় এবং অভ্যন্তরীণ গঠনকে পরিবর্তন করে।

বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, এরিয়েলের মসৃণ সমতলভূমি ক্রায়োভলকানিজম নামের এক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি হয়েছিল। এই প্রক্রিয়ায় পানি, বরফ ও গ্যাসজাত উদ্বায়ী পদার্থ চাঁদের ভেতর থেকে অগ্ন্যুৎপাতের মতো নির্গত হয়ে নিচু এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এতে স্পষ্ট ইঙ্গিত মেলে যে, এরিয়েলের ভূতাত্ত্বিক ইতিহাস দীর্ঘ ও জটিল ছিল।

তবে এখনো বিজ্ঞানীদের মনে প্রশ্ন—এই মহাসাগরটি কখন সৃষ্টি হয়েছিল এবং কতদিন স্থায়ী ছিল। কারণ এরিয়েলের পৃষ্ঠে প্রাচীন ও নতুন—দুই ধরনের অঞ্চলই দেখা যায়। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, এর বড় ধরনের পরিবর্তনগুলো ১০০ থেকে ২০০ কোটি বছর আগে ঘটেছিল।

তখন এরিয়েলের ভেতরে জোয়ার–ভাটার তাপ এতটাই শক্তিশালী ছিল যে বরফ গলতে শুরু করে এবং সেখান থেকে গলিত পানি প্রবাহিত হয়ে পৃষ্ঠে নতুন গঠন তৈরি করে। আরও আশ্চর্যের বিষয় হলো, বিজ্ঞানীরা চাঁদের পৃষ্ঠে অ্যামোনিয়া যৌগের উপস্থিতিও পেয়েছেন। যেহেতু অ্যামোনিয়া দ্রুত ক্ষয়প্রাপ্ত হয়, এটি ইঙ্গিত দেয় যে, অ্যামোনিয়া ওই অঞ্চলের তাপমাত্রা কমিয়ে মহাসাগরটিকে দীর্ঘ সময় টিকিয়ে রাখতে ভূমিকা রেখেছিল।

জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটি অ্যাপ্লায়েড ফিজিকস ল্যাবরেটরির বিজ্ঞানী টম নর্ডহেইম বলেন,

“আমরা এখন প্রমাণ পাচ্ছি যে, ইউরেনাস সিস্টেমে এক নয়, অন্তত দুটি মহাসাগর বিদ্যমান ছিল।”

অন্যদিকে প্ল্যানেটারি সায়েন্স ইনস্টিটিউটের গবেষক অ্যালেক্স প্যাথফ বলেন,

“এরিয়েলের পৃষ্ঠে আমরা যে ফাটল ও ভূতাত্ত্বিক পরিবর্তন দেখছি, সেগুলো তৈরি হতে হলে ভেতরে একটি মহাসাগর থাকা একেবারেই অপরিহার্য।”

এই নতুন গবেষণা শুধু ইউরেনাসের চাঁদ নয়, পুরো সৌরজগতের বহির্বিশ্বে জীবনের সম্ভাবনা সম্পর্কেও নতুন ধারণা দিচ্ছে। কারণ, মহাসাগর মানেই সেখানে একসময় জীবনের অনুকূল পরিবেশ থাকার সম্ভাবনা প্রবল।

সূত্র: আর্থ ডটকম

বিজ্ঞাপন

https://moreshopbd.com/