Sorry, you have been blocked

You are unable to access thailand-u31.com

Why have I been blocked?

This website is using a security service to protect itself from online attacks. The action you just performed triggered the security solution. There are several actions that could trigger this block including submitting a certain word or phrase, a SQL command or malformed data.

What can I do to resolve this?

You can email the site owner to let them know you were blocked. Please include what you were doing when this page came up and the Cloudflare Ray ID found at the bottom of this page.

কাবুলে বিমান হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান বিমানবাহিনী,টিটিপি প্রধান নিহত হওয়ার গুঞ্জন

কাবুলে বিমান হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান বিমানবাহিনী,টিটিপি প্রধান নিহত হওয়ার গুঞ্জন

কাবুলে বিমান হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান বিমানবাহিনী,টিটিপি প্রধান নিহত হওয়ার গুঞ্জন

অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি
অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি

প্রকাশিত: ০৬:১৯ ১০ অক্টোবর ২০২৫

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান বিমানবাহিনী। বৃহস্পতিবার গভীর রাতের পরপরই সংঘটিত এ হামলায় বিস্ফোরণের প্রচণ্ড শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা শহর। প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা অনুযায়ী, রাতের নীরবতা ভেঙে পরপর দুটি শক্তিশালী বিস্ফোরণ শোনা যায়, যা মুহূর্তেই আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয় কাবুলজুড়ে।

নূর ওয়ালি মেসুদ নিহত হওয়ার গুঞ্জন

পাকিস্তানের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম পাকিস্তান অবজারভার জানিয়েছে, এই সূক্ষ্ম ও লক্ষ্যভেদী হামলায় নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠন তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান (টিটিপি)-এর প্রধান নূর ওয়ালি মেসুদ নিহত হয়েছেন বলে জোর গুঞ্জন ছড়িয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তার সঙ্গে সংগঠনের শীর্ষ নেতা ক্বারী সাইফুল্লাহ মেসুদসহ আরও কয়েকজন ঘনিষ্ঠ সহযোগীও প্রাণ হারিয়েছেন।

একাধিক সূত্র জানায়, কাবুলে চলাচলরত অবস্থায় নূর ওয়ালি মেসুদের গাড়িকে লক্ষ্য করে হামলাটি চালানো হয়। তীব্র বিস্ফোরণে গাড়িটি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়ে যায়। যদিও স্থানীয় সংবাদমাধ্যম এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেনি, তবে তিনি গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলার সময় মেসুদ প্রকাশ্যেই গাড়িতে ছিলেন। পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর একটি টিটিপির নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন তিনি। দীর্ঘদিন ধরেই পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর ‘ওয়ান্টেড লিস্ট’-এর শীর্ষে ছিলেন নূর ওয়ালি মেসুদ।

সীমান্তে উত্তেজনা ও প্রতিশোধের আশঙ্কা

বিমান হামলার পর আফগান সীমান্তবর্তী খাইবার পাখতুনখাওয়া অঞ্চলে নিরাপত্তা জোরদার করেছে পাকিস্তান। ওই অঞ্চলে টিটিপির শক্তিশালী অবস্থান রয়েছে এবং গত সপ্তাহেই সেখানে টিটিপির হামলায় ১২ জন পাকিস্তানি সেনা নিহত হন।

এর আগে পাকিস্তান সেনাবাহিনী একই এলাকায় অভিযান চালিয়ে টিটিপির ডজনখানেক সদস্যকে হত্যা করেছিল, যা সংগঠনের পাল্টা হামলার সূত্রপাত ঘটায়।

বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ পার্লামেন্টে বলেন,

“অনেক হয়েছে, আমরা আর এ ধরনের হামলা সহ্য করব না।”

তার বক্তব্যের ঘণ্টাখানেক পরই কাবুলে এই বিমান হামলা চালানো হয়, যা দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

কাবুলজুড়ে আতঙ্কের পরিবেশ

কাবুলের স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, হামলার সময় তারা আকাশে যুদ্ধবিমান চক্কর দিতে দেখেছেন এবং পরপর দুটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন। অনেকেই ঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান।

আফগান তালেবান সরকারের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হামলার তথ্য নিশ্চিত করে বলেন,

“বিস্ফোরণের মাত্রা খুব বড় নয়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”

তবে প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, বিস্ফোরণের শক্তি এতটাই প্রবল ছিল যে আশপাশের ভবনগুলো কেঁপে ওঠে এবং বহু জানালার কাচ ভেঙে যায়। শহরের গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনী টহল বাড়িয়েছে।

পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জরুরি বৈঠক

এ ঘটনার পর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী শুক্রবার সকালে পেশোয়ার কর্পস সদর দপ্তরে জরুরি সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করেছেন। পাকিস্তান অবজারভার জানিয়েছে, সেখানে কাবুলে হামলার বিস্তারিত তথ্য ও সম্ভাব্য উদ্দেশ্য প্রকাশ করা হতে পারে।

যদিও পাকিস্তান এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে এ হামলার দায় স্বীকার করেনি, নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা একে টিটিপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে একটি ‘টার্গেটেড স্ট্রাইক’ হিসেবে দেখছেন। তাদের ধারণা, টিটিপির সাম্প্রতিক হামলার প্রতিশোধ হিসেবেই এই অভিযান চালানো হয়েছে।

পরিস্থিতি কোন দিকে যাবে

বর্তমানে আফগান-পাকিস্তান সীমান্তে উত্তেজনা তুঙ্গে। দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, যদি টিটিপি তাদের নেতার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে, তাহলে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে বড় ধরনের প্রতিশোধমূলক হামলা হতে পারে।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে দক্ষিণ এশিয়ার এই নতুন সামরিক উত্তেজনা। বিশ্লেষকদের মতে, এ ধরনের পদক্ষেপ আঞ্চলিক নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে নাজুক করে তুলতে পারে এবং ভবিষ্যতে বড় সংঘাতের আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

বিজ্ঞাপন

https://moreshopbd.com/