জামায়াতের সমাবেশ ঘিরে জোর প্রস্তুতি, নিরাপত্তায় ২০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক

জামায়াতের সমাবেশ ঘিরে জোর প্রস্তুতি, নিরাপত্তায় ২০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক

নিজস্ব প্রতিবেদক, মোরনিউজবিডি
নিজস্ব প্রতিবেদক, মোরনিউজবিডি

প্রকাশিত: ০৩:৩০ ১৯ জুলাই ২০২৫

রাজধানীর প্রাণকেন্দ্র সোহরাওয়ার্দী উদ্যান আজ সকাল থেকেই জমজমাট। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তাদের সাত দফা দাবি তুলে ধরতে আয়োজন করেছে জাতীয় সমাবেশের। আর এই সমাবেশকে সফল করতে ভোর থেকেই রাজধানীর রাস্তায় নেমে পড়েছেন দলের ২০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক।

হাইকোর্ট, মৎস্যভবন, শাহবাগ… কোথাও ভিড়, কোথাও শৃঙ্খলা। সবখানে চোখে পড়ছে এক ধরনের পোশাক পরা যুবকদের—তারা কেউ গেট চিহ্নিত করে দিচ্ছেন, কেউ পথ দেখাচ্ছেন দূরদূরান্ত থেকে আসা কর্মীদের, আবার কেউ নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনায় ব্যস্ত। তাদের মুখে ক্লান্তির ছাপ থাকলেও চোখে ছিল দায়িত্ববোধের দীপ্তি।

মৎস্যভবন এলাকায় দায়িত্বে থাকা মাসুদুর রহমান নামের এক স্বেচ্ছাসেবক বলেন,

“আমরা কেউ পেশাদার নই, কিন্তু এই দায়িত্বটা আমাদের কাছে অনেক বড়। মানুষ যাতে ঠিকভাবে সমাবেশে অংশ নিতে পারে, সেটাই নিশ্চিত করছি।”

সকাল গড়াতেই ছোট ছোট মিছিল এসে জমা হচ্ছে উদ্যানের মূল গেটে। কেউ চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে এসেছেন, কেউ কক্সবাজার থেকে। সবার মুখে একটাই কথা— “দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত থামা যাবে না।”

জামায়াত জানিয়েছে, শুধু সোহরাওয়ার্দী ও আশপাশেই ৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক দায়িত্ব পালন করছেন। বাকি স্বেচ্ছাসেবকরা পুরো রাজধানীজুড়ে অবস্থান নিয়ে সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের সহায়তা করছেন।

এবারের সমাবেশে দলের মূল দাবিগুলো হচ্ছে: অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি, অতীতের সব গণহত্যার বিচার, মৌলিক সংস্কার, ‘জুলাই সনদ’ বাস্তবায়ন, সংখ্যানুপাতিক (PR) পদ্ধতিতে নির্বাচন, প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা এবং জুলাই অভ্যুত্থানে নিহতদের পুনর্বাসন।

বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো—এটাই প্রথমবারের মতো জামায়াতে ইসলামীর এককভাবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত জাতীয় সমাবেশ। অনেকের কাছে এটি একটি নতুন রাজনৈতিক অধ্যায়ের সূচনা বলেই মনে হচ্ছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই আয়োজনের মধ্য দিয়ে দলটি আবারও মাঠে সক্রিয় উপস্থিতির জানান দিচ্ছে। যদিও নানা মতবিরোধ থাকতেই পারে, তবে একটি দলের পক্ষ থেকে এরকম সুসংগঠিত আয়োজন নিঃসন্দেহে নজর কাড়ার মতো।
 

বিজ্ঞাপন