রবিবার , ১০ আগস্ট, ২০২৫ | ২৬ শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ০৫:১২ ১০ আগস্ট ২০২৫
গাজা উপত্যকায় অনাহার ও অপুষ্টিজনিত কারণে আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এ নিয়ে অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে এই ধরনের মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১২ জনে, যার মধ্যে ৯৮ জনই শিশু।
মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযানে অন্তত ৩৮ জন নিহত এবং ৪৯১ জন আহত হয়েছেন।
এদিকে ইসরায়েল গাজা সিটির পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ৭ অক্টোবরের মধ্যে শহরটি খালি করে আনুমানিক ১০ লাখ বাসিন্দাকে দক্ষিণ অঞ্চলে সরিয়ে নেওয়া হবে। যুদ্ধের আগে গাজা সিটিতে প্রায় ৬ লাখ মানুষের বসবাস থাকলেও চলমান সংঘাতের কারণে বিপুলসংখ্যক বাস্তুচ্যুত মানুষ এখন সেখানে আশ্রয় নিয়েছে।
গত শুক্রবার প্রকাশিত ইসরায়েলের নতুন পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, গাজা যুদ্ধের অবসানের জন্য পাঁচটি মূলনীতি অনুসরণ করা হবে, যার একটি হলো ওই অঞ্চলের নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ নেওয়া। তবে এই পরিকল্পনা আন্তর্জাতিক মহলসহ ইসরায়েলের ভেতরেও ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে। বন্দিদের পরিবারের সদস্য ও কিছু সামরিক কর্মকর্তা এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছেন।
জাতিসংঘ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো সতর্ক করেছে, এই পরিকল্পনা ইতোমধ্যেই চরম কষ্টে থাকা মানুষের ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলবে। জাতিসংঘের খাদ্য নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছে, গাজায় এখন ‘দুর্ভিক্ষের সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি’ বিরাজ করছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় খাদ্য সহায়তা নিতে গিয়ে ২১ জন নিহত হয়েছেন। জাতিসংঘের তথ্যমতে, গত মে মাসের শেষ দিক থেকে খাদ্য সংগ্রহের পথে ৩৭৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৮৫৯ জন নিহত হয়েছেন বিতর্কিত গাজা হিউম্যানিটারিয়ান ফাউন্ডেশন (জিএইচএফ) সহায়তা কেন্দ্রের কাছে এবং ৫১৪ জন নিহত হয়েছেন খাদ্যবাহী বহরের পথে।
সূত্র: বিবিসি
বিজ্ঞাপন