রবিবার , ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ১১ ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ছবি: সংগৃহীত
প্রকাশিত: ০৯:৪৭ ২২ জানুয়ারী ২০২৫
বর্তমানে অভিনেতা সাইফ আলী খান এবং তার পরিবারের জন্য সময়টি মোটেই ভালো যাচ্ছে না। ক'দিন আগে, সাইফ নিজের বাড়িতে হামলার শিকার হয়েছিলেন এবং ৬ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর, তিনি বাড়ি ফিরেছেন। তবে, তার বাড়ি ফিরতেই নতুন একটি সমস্যা দেখা দিয়েছে।
মধ্যপ্রদেশে পতৌদি পরিবারের ১৫ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি এখন কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলে যেতে পারে। সম্প্রতি, আদালত ওই সম্পত্তির উপর থাকা স্থগিতাদেশ তুলে নিয়েছে, যার ফলে সাইফের পরিবার বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি হারাতে পারে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ২০১৫ সালে এই সম্পত্তির অধিগ্রহণের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছিল। তবে, সম্প্রতি রাজ্যের হাই কোর্ট তা তুলে নিয়েছে। বিচারপতি বিবেক আগরওয়াল জানিয়ে দেন, ২০১৭ সালের সংশোধিত শত্রু সম্পত্তি আইনে কেন্দ্র ৩০ দিনের মধ্যে ওই সম্পত্তির দাবি করতে পারে।
২০২৪ সালের ১৩ ডিসেম্বর, হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ পতৌদি পরিবারকে তাদের বক্তব্য পেশ করতে বলেছিল। তবে এক মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও তারা কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে কিনা, তা স্পষ্ট নয়। ভোপালের জেলা প্রশাসন এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাইছে না।
২০১৫ সালে মুম্বাইতে অবস্থিত শত্রু সম্পত্তি সংক্রান্ত দপ্তর ঘোষণা করেছিল যে, ভোপালের নবাবের জমি সরকারি সম্পত্তি। এর পরই, পতৌদি পরিবার আইনের দ্বারস্থ হয় এবং দাবি করে যে, ভোপাল ও রাইসেনে অবস্থিত ফ্ল্যাগ স্টাফ হাউস, আহমেদাবাদ প্যালেস, রাইসেনের কোঠি ও তার সংলগ্ন জঙ্গল তাদের সম্পত্তি। তবে, শত্রু সম্পত্তি আইনের কারণে এখন এসব সম্পত্তি হাতছাড়া হতে পারে তাদের।
২০১৯ সালে, আদালত জানায় যে, সাজিদা সুলতান ওই সম্পত্তির বৈধ উত্তরসূরি এবং তার নাতি সাইফ আলী খানের অংশ রয়েছে। তবে, আবিদা পাকিস্তানে চলে যাওয়ার পর, সরকার এটিকে শত্রু সম্পত্তি বলে দাবি করে। এবার, স্থগিতাদেশ তুলে নেওয়ার পর, এই সম্পত্তির অধিকার নিয়ে নতুন ঝামেলা সৃষ্টি হয়েছে।
বিজ্ঞাপন