শেখ হাসিনার বিচার চাইলেন সাঈদীর মামলার আলোচিত সাক্ষী সুখরঞ্জন বালি

শেখ হাসিনার বিচার চাইলেন সাঈদীর মামলার আলোচিত সাক্ষী সুখরঞ্জন বালি

নিজস্ব প্রতিবেদক, মোরনিউজবিডি
নিজস্ব প্রতিবেদক, মোরনিউজবিডি

প্রকাশিত: ০৯:০৮ ২১ আগস্ট ২০২৫

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক নায়েবে আমির আল্লামা দেলওয়ার হোসাইন সাঈদীর মামলার আলোচিত সাক্ষী সুখরঞ্জন বালি দীর্ঘদিন পর আবারও সামনে এলেন। তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির হয়ে অভিযোগ করেছেন—তাকে অপহরণ, গুম ও শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সুখরঞ্জন বালি অভিযোগ দায়েরের পর সাংবাদিকদের বলেন, “সাঈদী একজন ভালো মানুষ ছিলেন। তার জানাজায়ও আমি গিয়েছিলাম। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে আমাকে অপহরণ, আটক ও নির্যাতন করা হয়েছিল।” তিনি জানান, এ ঘটনায় আইনি প্রতিকার পাওয়ার অধিকার তার রয়েছে।

তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কাছে পূর্ণ বিবরণসহ লিখিত অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, ২০১২ সালের ৫ নভেম্বর আদালতে সাক্ষ্য দিতে এলে সাদা পোশাকধারী পুলিশ তাকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। এরপর টানা দুই মাস ১৭ দিন গুম করে রাখা হয় তাকে। পরে সীমান্ত পার করে ভারতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়, যেখানে তাকে পাঁচ বছর কারাভোগ করতে হয়।

সুখরঞ্জন বালি দাবি করেন, সাঈদীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে তার ওপর চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিল।

তার আইনজীবী পারভেজ হোসেন জানান, এ ঘটনায় দায়ী হিসেবে শেখ হাসিনা, সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, ট্রাইব্যুনালের সাবেক বিচারপতি নিজামুল হক নাসিম, সাবেক আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ, সাবেক প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্ত, সাবেক প্রসিকিউটর হায়দার আলীসহ মোট ৩২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যুদ্ধাপরাধের মামলায় জামায়াত নেতা দেলওয়ার হোসাইন সাঈদীকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। তবে সেই মামলার অন্যতম আলোচিত ঘটনা ছিল সাক্ষী সুখরঞ্জন বালির নিখোঁজ হয়ে যাওয়া, যা আন্তর্জাতিক মহলেও তীব্র আলোচনার জন্ম দিয়েছিল।

বিজ্ঞাপন