শনিবার , ২৩ আগস্ট, ২০২৫ | ৭ ভাদ্র, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ০৭:১১ ২১ আগস্ট ২০২৫
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে বিশ্ব এখন আর তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কার মুখে নেই। বুধবার রেডিও উপস্থাপক মার্ক লেভিনকে দেওয়া এক পডকাস্ট সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, এ বছরের শুরুতে দায়িত্ব নেওয়ার সময় ইউক্রেন সংঘাত উত্তপ্ত অবস্থায় ছিল এবং সেটি সরাসরি বিশ্বযুদ্ধের দিকে ধাবিত হচ্ছিল। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি বদলেছে।
ট্রাম্প বলেন, “এখন আর আপনাদের সে নিয়ে দুশ্চিন্তা করতে হবে না। এটা ভালো দিক।” যদিও তিনি স্বীকার করেন, ইউক্রেন সংঘাতের চূড়ান্ত সমাধান কীভাবে আসবে তা এখনো স্পষ্ট নয়।
সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে দায়ী করে ট্রাম্প অভিযোগ করেন, ইউক্রেনকে ন্যাটোতে অন্তর্ভুক্ত করার প্রচেষ্টায় রাশিয়ার যৌক্তিক উদ্বেগ উপেক্ষা করেছিলেন, যা সংঘাতকে আরও উসকে দিয়েছিল। তাঁর মতে, বাইডেন প্রশাসনের আমলে ওয়াশিংটন-মস্কো সম্পর্ক ইতিহাসের নিম্নতম পর্যায়ে পৌঁছেছিল।
দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ট্রাম্প রাশিয়ার সঙ্গে নতুন কূটনৈতিক পথ অবলম্বন করেছেন। তিনি মস্কোর সঙ্গে উচ্চপর্যায়ের আলোচনা পুনরায় চালু করেছেন এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ বজায় রেখেছেন।
গত সপ্তাহে আলাস্কায় ট্রাম্প ও পুতিনের মুখোমুখি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ইউক্রেন যুদ্ধে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে উত্তেজনা শুরু হওয়ার পর এটিই দুই দেশের নেতাদের প্রথম সরাসরি সাক্ষাৎ। এ ছাড়া সোমবার ওয়াশিংটনে ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও ইউরোপীয় কয়েকজন নেতার সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
আলোচনাকে ফলপ্রসূ আখ্যা দিয়ে ট্রাম্প বলেন, এর ফলে একটি সম্ভাব্য সমঝোতার পথ আরও বাস্তবসম্মত হয়েছে। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলাইন লেভিটও জানান, “অবশেষে টানেলের শেষে আলোর ঝলক দেখা যাচ্ছে এবং একটি স্থায়ী শান্তির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।”
রাশিয়া বরাবরই দাবি করে আসছে যে ইউক্রেন যুদ্ধ মূলত পশ্চিমা দেশগুলোর পরিচালিত একটি প্রক্সি যুদ্ধ। মস্কো সতর্ক করেছে, ইউক্রেনে পশ্চিমা সেনা পাঠানো হলে তা বিশ্বযুদ্ধের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। তবে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনসহ কর্মকর্তারা ট্রাম্পের শান্তি প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়েছেন।
বিজ্ঞাপন