সেনাবাহিনীর ৪০০ সদস্য পাহাড়ে শহীদ, কেও খবর রাখেনি: রাওয়া চেয়ারম্যান

সেনাবাহিনীর ৪০০ সদস্য পাহাড়ে শহীদ, কেও খবর রাখেনি: রাওয়া চেয়ারম্যান

অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি
অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি

প্রকাশিত: ০৬:৪৩ ২ অক্টোবর ২০২৫

খাগড়াছড়িতে সাম্প্রতিক সহিংসতার পেছনে আন্তর্জাতিক প্রভাব থাকতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন রিটায়ার্ড আর্মড ফোর্সেস অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন (রাওয়া) চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ আবদুল হক। প্রথম সারির একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, কথিত ধর্ষণ সংক্রান্ত অভিযোগকে বড় করে তোলা হয়েছে যাতে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) এবং তার অঙ্গসংগঠন স্থানীয় মানুষদের বাড়ি-ঘরে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ চালিয়ে সেনাবাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করেছে। এতে তিনজন নিহত ও অনেকে আহত হয়েছেন।

কর্নেল হক বলেন, ইউপিডিএফের এই কর্মকাণ্ডের পেছনে সীমান্তপারের কিছু শক্তি সরাসরি ইন্ধন জোগাচ্ছে। তিনি সতর্ক করেন, সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো পার্বত্যাঞ্চলে চাঁদাবাজি, জোরপূর্বক সম্পত্তি দখল এবং অপহরণসহ অবৈধ কাজে লিপ্ত, যা স্থানীয় জনগণ ও পরিবেশের জন্য গুরুতর হুমকি।

তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, শুধুমাত্র সৈন্য মোতায়েন করলেই সমস্যা সমাধান হবে না। পার্বত্যাঞ্চলের টেকসই শান্তি ও বিকাশের জন্য প্রয়োজন সিভিল প্রশাসন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সামাজিক সমন্বয়। স্থানীয় জনগণের মৌলিক অধিকার—শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত না হলে বিচ্ছিন্নতাবাদী মনোভাব আরও জোরদার হবে।

রাওয়া চেয়ারম্যান সামরিক বাহিনীর তৎপরতা প্রশংসা করলেও আহত ও নিহত সৈন্যদের পরিবারগুলোকে পর্যাপ্ত সহায়তা না দেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি বলেন,

“৪০০ সেনাবাহিনী সদস্য শহীদ হয়েছেন। এই দেশ কি খবর রেখেছে? তাদের পরিবারদের পাশে কি কেউ দাঁড়িয়েছে? ভারত দেখুন, তারা তাদের সেনাদের কতটা সম্মান দেয়। আমরা কি তা করতে পেরেছি?”

কর্নেল হক খাগড়াছড়ি ব্রিগেড কমান্ডার হাসানের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন এবং উল্লেখ করেন, সেনাবাহিনী এত বড় ত্যাগ স্বীকার করলেও সাধারণ মানুষ ও প্রশাসন যথেষ্ট স্বীকৃতি দেয় না।

বিজ্ঞাপন

https://moreshopbd.com/