বৃহস্পতিবার , ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ১৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রকাশিত: ১০:২৯ ৩ ডিসেম্বর ২০২৫
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সকল কার্যক্রম স্থগিত, নির্বাহী বিভাগ থেকে নির্বাচন কমিশনের সচিব ও মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়োগ অবৈধ ঘোষণা এবং স্বাধীন "ইলেক্টোরাল সার্ভিস কমিশন" গঠনের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ কংগ্রেস দলের পক্ষ থেকে মহাসচিব অ্যাডভোকেট মো. ইয়ারুল ইসলাম এ রিট দায়ের করেন। আগামী সপ্তাহে বিচারপতি সিকদার মাহমুদুর রাজীর নেতৃত্বাধীন একটি দ্বৈত বেঞ্চে রিটের শুনানি অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
রিট আবেদনে বলা হয়, নির্বাহী বিভাগের কর্মকর্তাদের নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে বসানো এবং রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব প্রদান সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। বিচার বিভাগের মতো নির্বাচন কমিশনেরও নিজস্ব লোকবল থাকা প্রয়োজন। এ কারণে নির্বাচন কমিশনের অধীনে একটি স্বাধীন “ইলেক্টোরাল সার্ভিস কমিশন” গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয় রিটে।
আবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনই নির্বাচন পরিচালনার একমাত্র কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বাস্তবে প্রতি নির্বাচনেই নির্বাহী বিভাগকে দায়িত্ব দেওয়া হয়, যারা সরকারের প্রতিনিধিত্ব করে। এতে নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হয় এবং নির্বাচনকে ঘিরে নানা বিতর্ক সৃষ্টি হয়।
রিটে দাবি করা হয়, বর্তমানে নির্বাহী বিভাগ তাদের আস্থা ও গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে। তাদের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে—এমন বিশ্বাস জনগণের মধ্যে নেই। তাই সচিব, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়ায় নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তাদের নিয়োগের নির্দেশনা কামনা করা হয়েছে।
অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম বলেন,
“সরকার ও নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যেই ডিসিদের সঙ্গে নির্বাচন বিষয়ক আলোচনা শুরু করেছে এবং তাদের নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। ডিসি ও নির্বাহী বিভাগের কর্মকর্তাদের আবারও দায়িত্ব দিলে আরেকটি প্রভাবিত নির্বাচন হবে—এটা নিশ্চিত।”
তিনি আরও বলেন,
“জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্বাচন প্রক্রিয়ায় যুক্ত করতে হবে। নির্বাচন কমিশনের সচিবকে অপসারণ না করলে নির্বাহী বিভাগের নিয়ন্ত্রণমুক্ত নিরপেক্ষ নির্বাচন কখনই সম্ভব নয়।”
