পৌষ্য কোটায় ভর্তির শর্ত শিথিলের প্রতিবাদের ইবিতে বিক্ষোভ

পৌষ্য কোটায় ভর্তির শর্ত শিথিলের প্রতিবাদের ইবিতে বিক্ষোভ

পৌষ্য কোটায় ভর্তির শর্ত শিথিলের প্রতিবাদের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এসময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিকট জুলাই আন্দোলন বিরোধিতায় (ইবি) জড়িত ব্যক্তিদের ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে না দেওয়ার দাবিও জানান তারা।

বুধবার ( ৩০ অক্টোবর) বেলা সাড়ে এগারোটায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে ক্যাম্পাসের বটতলা প্রাঙ্গণ থেকে মিছিল শুরু করে শিক্ষার্থীরা।

মিছিলে শিক্ষার্থীরা  'কই গেলিরে সন্ত্রাসীরা, আসছে তোদের বাপেরা', 'আবু সাঈদ-মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ, 'মেধা না কোটা, কোটা কোটা', 'আর নয় হেলা ফেলা, এবার হবে ফাইনাল খেলা', ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
মিছিলটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবনের সামনে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটা সেক্টরে এখনো ফ্যাসিবাদের দোসররা বসে বসে বিভিন্নভাবে চব্বিশের স্বাধীনতাকে ভূলুণ্ঠিত করার চেষ্টা করছে। আমাদের আন্দোলনের সূচনাই হয়েছিল কোটার বিরূদ্ধে আন্দোলন। বাংলাদেশ থেকে কোটার অবসান হয়েছে। আবার কোটার মাধ্যমে যিনি পরিবার তন্ত্র কায়েম করতে চেয়েছেন তারও বিদায় হয়েছে। কিন্তু পাঁচ টাকার সিঙ্গারা খাওয়া পাতি নেতাদের এখনো বিদায় হয় নাই।

এছাড়া তারা আরও বলেন, 'যেটাকে যে যায়গায় রাখা দরকার সেই জায়গায় না রাখার নাম জুলুম। যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ফেল করে কোটার মাধ্যমে ভর্তি করিয়ে আমরা তাদের উপর জুলুম করতে পারবো না। আমরা চাই তারা ন্যায় বিচার পাক, ভর্তি পরীক্ষায় যারা পাশ করে তারাই শুধু ভর্তি হবে। তাই ইবিতে কোনো কোটা থাকবে না। এছাড়া ইবিতে যারা ৪ আগস্ট ফাইনাল খেলার ঘোষণা দিয়েছিল তাদের সাথে আমাদের ফাইনাল খেলা বাকি আছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যেসকল শিক্ষক,  কর্মকর্তা- কর্মচারীর নামে অভিযোগ গিয়েছে তাদের কেউ অফিস করতে পারবেন না। স্বৈরাচারের দোসর, তাদের সাথে সম্পৃক্ত এবং তাদের পক্ষ নিয়ে যারা কথা বলবে তাদের কাউকে আমরা ছাড় দিতে প্রস্তুত নই।"
সমাবেশে সায়েম আহমেদ বলেন, "যেসব শিক্ষকদের বিরূদ্ধে নৈরাজ্য, হত্যারসহযোগী হিসেবে অভিযোগ পেয়েছি তাদের সামনে বসে আমরা ক্লাস-পরীক্ষা করতে রাজি নই। এই হত্যাকারীর দোসর, অপরাধী শিক্ষকদেরকে আমরা ক্লাসরুমে দেখতে চাই না। কারণ তাদের থেকে আমাদের সুশিক্ষা পাওয়ার কোনো অবকাশ নেই। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন থেকে সুস্পষ্ট বিবৃতি চাই যে হত্যাকারীর দোসরদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আঙিনায় পা ফেলতে পারবে না। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল অভিযুক্ত শিক্ষক, কর্মকর্তা- কর্মচারীদের তলব করার পূর্বে তারা যেন ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে না পারে তার জন্য প্রশাসনের কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। এছাড়া সমাজে বৈষম্য দূরীকরণে অন্যতম বাঁধা হলো কোটা। সেই কোটার আমরা বিলীন চাই। এই বিশ্ববিদ্যালয় হবে মুক্ত জ্ঞান চর্চার আঁতুড়ঘর। সেখানে ফেল করা বা কোটার মাধ্যমে জোর করে ভর্তি করানোর কোনো অবকাশ নাই।

বিজ্ঞাপন