Sorry, you have been blocked

You are unable to access thailand-u31.com

Why have I been blocked?

This website is using a security service to protect itself from online attacks. The action you just performed triggered the security solution. There are several actions that could trigger this block including submitting a certain word or phrase, a SQL command or malformed data.

What can I do to resolve this?

You can email the site owner to let them know you were blocked. Please include what you were doing when this page came up and the Cloudflare Ray ID found at the bottom of this page.

প্রথমবার কয়লার চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ দিল সৌর ও বায়ুশক্তি!

প্রথমবার কয়লার চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ দিল সৌর ও বায়ুশক্তি!

প্রথমবার কয়লার চেয়ে বেশি বিদ্যুৎ দিল সৌর ও বায়ুশক্তি!

অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি
অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি

প্রকাশিত: ১১:৪৩ ৮ অক্টোবর ২০২৫

বিশ্বে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী পরিবর্তন ঘটেছে। চলতি ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি, পানিপ্রবাহ ও অন্যান্য নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদিত বিদ্যুতের পরিমাণ প্রথমবারের মতো কয়লা থেকে উৎপাদিত বিদ্যুতের পরিমাণকে ছাড়িয়ে গেছে। এ তথ্য জানানো হয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক জ্বালানিবিষয়ক থিংক ট্যাংক সংস্থা অ্যাম্বার-এর সর্বশেষ প্রতিবেদনে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত সময়কালে বিশ্বে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে মোট ৫ হাজার ৭২ টেরাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয়েছে, অন্যদিকে কয়লা পুড়িয়ে উৎপাদিত হয়েছে ৪ হাজার ৮৯৬ টেরাওয়াট বিদ্যুৎ। এক হাজার মেগাওয়াটে এক গিগাওয়াট এবং এক হাজার গিগাওয়াটে এক টেরাওয়াট বিদ্যুৎ ধরা হয়।

বিশ্লেষকদের মতে, এই পরিসংখ্যান বিশ্বজুড়ে বিদ্যুৎ খাতে এক সবুজ বিপ্লবের সূচনা নির্দেশ করছে। কারণ, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে নির্গত কার্বন ডাই অক্সাইড ও অন্যান্য গ্রিনহাউস গ্যাসই জলবায়ু পরিবর্তন ও বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির অন্যতম প্রধান কারণ।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমিয়ে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বাড়াতে সচেষ্ট হয়েছে। অনেক দেশই ইতিমধ্যে সৌরশক্তি ও বায়ুশক্তি নির্ভর প্রকল্পে বিপুল বিনিয়োগ করেছে।

অ্যাম্বারের জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক ম্যালগোরজাতা উইয়াত্রোস-মোতিকা বলেন,
“বিদ্যুতের বৈশ্বিক উৎপাদন খাতে আমরা এক গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে এসে দাঁড়িয়েছি। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসের তথ্য বলছে, কয়লার ওপর নির্ভরতা আগের চেয়ে অনেক দ্রুত কমছে, আর নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার আশাতীতভাবে বাড়ছে। এটা পরিবেশের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক খবর।”

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছে চীন ও ভারত। বিশ্বের জনবহুল এই দুটি দেশ অতীতে ব্যাপকভাবে কয়লা ও তেলের ওপর নির্ভরশীল ছিল, তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তারা দ্রুত সবুজ শক্তির দিকে অগ্রসর হচ্ছে।

২০২৫ সালে চীন ও ভারতে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, আর সৌরশক্তি, বায়ুশক্তি ও পানিপ্রবাহ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে যথাক্রমে ৪৩ শতাংশ ও ১৬ শতাংশ।
ভারতে গত বছরের তুলনায় চলতি বছর সৌরবিদ্যুৎ বেড়েছে ২৯ শতাংশ এবং বায়ুশক্তি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে ৩১ শতাংশ।

তবে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্রে চিত্রটি উল্টো। দেশটিতে ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন বেড়েছে ১৭ শতাংশ, যা বিশেষজ্ঞদের মতে উদ্বেগজনক।

জ্বালানি বিশ্লেষকরা বলছেন, নবায়নযোগ্য শক্তির উত্থান শুধু পরিবেশ রক্ষার জন্য নয়, বরং এটি দীর্ঘমেয়াদে অর্থনৈতিকভাবেও লাভজনক। কারণ সৌর ও বায়ুশক্তির উৎপাদন খরচ এখন আগের তুলনায় অনেক কমে এসেছে।

বিশ্বব্যাপী নবায়নযোগ্য শক্তির এই অগ্রগতি প্রমাণ করছে—মানুষ এখন আরও সচেতন, প্রযুক্তি আরও উন্নত, এবং ভবিষ্যৎ আরও সবুজ ও টেকসই শক্তির দিকেই এগোচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

https://moreshopbd.com/