Sorry, you have been blocked

You are unable to access thailand-u31.com

Why have I been blocked?

This website is using a security service to protect itself from online attacks. The action you just performed triggered the security solution. There are several actions that could trigger this block including submitting a certain word or phrase, a SQL command or malformed data.

What can I do to resolve this?

You can email the site owner to let them know you were blocked. Please include what you were doing when this page came up and the Cloudflare Ray ID found at the bottom of this page.

শরীয়াহ আইন কায়েমে অমুসলিমদের ওপর বাড়তি চাপ থাকবে না: শিশির মনির

শরীয়াহ আইন কায়েমে অমুসলিমদের ওপর বাড়তি চাপ থাকবে না: শিশির মনির

শরীয়াহ আইন কায়েমে অমুসলিমদের ওপর বাড়তি চাপ থাকবে না: শিশির মনির

অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি
অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি

প্রকাশিত: ১২:৪৩ ৮ অক্টোবর ২০২৫

জামায়াতে ইসলামীর ক্ষমতায় আসলে শরীয়াহ আইন কায়েম হবে কিনা, আর হলে তা ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের ওপরও প্রযোজ্য হবে কিনা—এই প্রশ্নে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও জামায়াতে ইসলামীর এমপি প্রার্থী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।

সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, ইসলামিক শরীয়াহ আইনের প্রয়োগ নিয়ে সমাজে অনেক ভুল ধারণা রয়েছে। ইসলামী আইনের মূল বিষয় হলো ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, ভয়ভীতি ছড়ানো নয়।

শরীয়াহ আইন ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের ওপরও বর্তাবে কিনা—এমন প্রশ্নের জবাবে শিশির মনির বলেন, “ইসলামের আইনটা কী? ইসলামের আইনটা হলো, যদি কারও চুরি সুনির্দিষ্টভাবে প্রমাণিত হয়, তাহলে তার শাস্তি হবে। তবে এটাকে বুঝতে হবে কিভাবে অতীতে এই বিধানগুলোকে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। খোলাফায়ে রাশেদের যুগে প্রায় ৮০০ বছর ইসলামী শাসন চলেছে। কিন্তু তখন কয়জনের হাত কাটা হয়েছে? বরং বহু ক্ষেত্রে চুরির শাস্তি কার্যকর না করে স্থগিত রাখা হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা যখন খুব সরলীকরণ করে ফেলি যে শরীয়াহ মানেই হাত কাটা—তখন সেটা মিস ইন্টারপ্রিটেশন হয়ে যায়। ইসলামি আইন ব্যাখ্যা করার ক্ষেত্রে প্রেক্ষাপট, সামাজিক অবস্থা ও উদ্দেশ্য বিবেচনা করতে হয়। এটি কোনো কঠোর বা অমানবিক ব্যবস্থা নয়।”

আইন পরিবর্তন বা আধুনিকীকরণের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে শিশির মনির বলেন, “ধর্মীয় আইনকে বাইনারি বা একদম সাদা-কালো দৃষ্টিতে দেখা ঠিক নয়। সামাজিক প্রেক্ষাপট অনুযায়ী প্রতিটি ঘটনার মূল্যায়ন আলাদা হবে। যেমন, পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড আর উত্তেজনার বশে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড এক নয়। দণ্ডবিধিতে যেমন পার্থক্য রয়েছে, শরীয়াহতেও তাই।”

তিনি আরও ব্যাখ্যা করেন, শরীয়াহ আইনের প্রয়োগ মানে এই নয় যে সমাজে ভয়ভীতি সৃষ্টি করা হবে। বরং আইনের লক্ষ্য হবে ন্যায়বিচার ও অপরাধ দমন।

ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের বিষয়ে শিশির মনির বলেন, “বাংলাদেশের পেনাল কোড বা দণ্ডবিধি যেভাবে সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য, ঠিক তেমনি শরীয়াহতেও সব ধর্মের মানুষের জন্যই ন্যায়ের কাঠামো এক। এখানে কারও প্রতি বাড়তি কঠোরতা বা কোনো বিশেষ ছাড় থাকবে না।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি শিশির মনির বলেন, ইসলামী আইন নিয়ে অনেকেই রাজনৈতিকভাবে ভ্রান্ত ব্যাখ্যা দেন। অথচ ইতিহাসে দেখা যায়, ইসলামী শাসনব্যবস্থার যুগে দীর্ঘ সময় ধরে বিশ্বে শান্তি ও সামাজিক ভারসাম্য বজায় ছিল।

তিনি শেষ পর্যন্ত বলেন, “ধর্মীয় আইন নিয়ে ভয় বা বিভ্রান্তি ছড়ানো ঠিক নয়। শরীয়াহ আইন মূলত ন্যায়, মানবিকতা ও জবাবদিহিতার ভিত্তিতে সমাজে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার জন্যই।”

বিজ্ঞাপন

https://moreshopbd.com/