ভারতকেই দুষলেন শহীদ আফ্রিদি!

ভারতকেই দুষলেন শহীদ আফ্রিদি!

অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি
অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি

প্রকাশিত: ০৭:৩৮ ২৬ এপ্রিল ২০২৫

কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় ২৬ জন নিরীহ পর্যটক নিহত হওয়ার ঘটনায় উত্তপ্ত হয়েছে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ হামলার জন্য পরোক্ষভাবে পাকিস্তানকে দায়ী করলেও, পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেট অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি এসব অভিযোগকে সরাসরি নাকচ করে দিয়েছেন।

আফ্রিদি ভারতীয় অভিযোগকে "দুর্ভাগ্যজনক ও অন্যায্য" বলে অভিহিত করে বলেন, "কোনো ধরনের প্রমাণ ছাড়াই পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করা একেবারেই অনুচিত। সমস্যার একমাত্র সমাধান হলো শান্তিপূর্ণ সংলাপ। সংঘাত কখনোই সুফল বয়ে আনে না।" তিনি আরও উল্লেখ করেন, দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের বৈরিতা শুধু সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ বাড়ায়, সমস্যার স্থায়ী সমাধান আনতে পারে না।

খেলাধুলাকে রাজনীতির বাইরে রাখার ওপর জোর দিয়ে শহীদ আফ্রিদি বলেন, "ক্রিকেট বা অন্য কোনো খেলাকে কখনোই রাজনীতির হাতিয়ার বানানো উচিত নয়। খেলাধুলা বন্ধুত্বের সেতুবন্ধন তৈরি করে, বিভেদ নয়। ভারত ও পাকিস্তান — উভয় দেশকেই আহ্বান জানাই যেন ক্রিকেটকে রাজনীতির উর্ধ্বে রাখা হয়।"

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে চালানো জঙ্গি হামলার দায় স্বীকার করেছে ‘রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ নামের একটি কাশ্মীরি গোষ্ঠী। সংগঠনটি দাবি করেছে, কাশ্মীর অঞ্চলে ৮৫ হাজার বহিরাগত বসতির বিরোধিতার অংশ হিসেবেই এই হামলা চালানো হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে দাবি করা হয়, হামলার নেপথ্যে পাকিস্তান থেকে আসা জঙ্গিদের মদত থাকতে পারে। তবে এখনো এ সংক্রান্ত কোনো আন্তর্জাতিক বা স্বাধীন তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়নি।

শহীদ আফ্রিদির মন্তব্যের পর পাকিস্তানের বিভিন্ন মহলে তার প্রশংসা হচ্ছে। বিশেষ করে শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের আহ্বানকে অনেকেই ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন। অন্যদিকে, ভারতের কিছু কট্টর জাতীয়তাবাদী গোষ্ঠী আফ্রিদির এই মন্তব্যকে "ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ" হিসেবে দেখছে। ফলে পুরো অঞ্চলজুড়ে আবারও রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত-পাকিস্তান দুই দেশের সম্পর্ক এমনিতেই নাজুক। পেহেলগামের সাম্প্রতিক হামলা সেই টানাপোড়েনকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। শহীদ আফ্রিদির মতো আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ব্যক্তির পক্ষ থেকে শান্তিপূর্ণ সংলাপের আহ্বান দুই দেশের নাগরিকদের মধ্যে সুস্থ চিন্তার আবহ তৈরি করতে পারে কিনা, সেটাই এখন দেখার বিষয়।

 

বিজ্ঞাপন