শনিবার , ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ১০ ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ছবি: সংগৃহীত
প্রকাশিত: ০৫:৩৭ ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
বাংলাদেশের ক্রিকেট দলের জন্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শুরুটা সুখকর হয়নি। বৃহস্পতিবার, দুবাইতে ভারতের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৬ উইকেটের ব্যবধানে পরাজিত হয় বাংলাদেশ। তবে এই ম্যাচে একমাত্র রৌপ্য মুহূর্ত হিসেবে সামনে আসে তাওহিদ হৃদয়ের অসাধারণ সেঞ্চুরি এবং তার সঙ্গে জাকের আলির রেকর্ড গড়া পার্টনারশিপ।
৩৫ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর, বাংলাদেশকে ক্রমাগত বিপদ থেকে উদ্ধার করেন তাওহিদ হৃদয় ও জাকের আলি অনিক। এই দুজনের ১৫৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি দলের সম্মান রক্ষা করতে সাহায্য করে। জাকের আলি ফিফটি করার পর, হৃদয় তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন, ৬টি চার ও ২টি ছক্কায় ১১৮ বলের মধ্যে ১০০ রান পূর্ণ করেন।
ক্রিকেট বিশ্লেষকরা হৃদয়ের ইনিংসে মুগ্ধ হয়েছেন। ভারতের প্রখ্যাত ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে ম্যাচ চলাকালীন এক্স-বার্তায় লেখেন, "তাওহিদ হৃদয়ের কথা অনেকদিন ধরেই শুনে আসছি, কিন্তু আজ তিনি নিজের দক্ষতা প্রমাণ করেছেন।" পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার রমিজ রাজাও হৃদয়ের ইনিংসকে অসাধারণ হিসেবে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, "বাংলাদেশ যে পরিস্থিতিতে ছিল, তাতে মনে হচ্ছিল ১শ রানও করতে পারবে না, কিন্তু হৃদয় ও জাকেরের ব্যাটিং ছিল দুর্দান্ত। ভারতের মতো শক্তিশালী বোলিং লাইনআপের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করা অনেক বড় ব্যাপার।"
রমিজ আরও বলেন, "হৃদয় বড় শট খেলার ক্ষমতা রাখে এবং তার আগ্রাসী মনোভাব বাংলাদেশকে মিডল অর্ডারে একটি অমূল্য সম্পদ হিসেবে তৈরি করেছে। তার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল।"
তিনি জাকের ও হৃদয়ের পার্টনারশিপ থেকে পাকিস্তানকে শিক্ষা নিতে পরামর্শ দেন, বিশেষ করে ৩৫ রানে ৫ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর যে ভাবে তারা পরিস্থিতি সামাল দিয়ে ইনিংস টেনে নিয়ে গেছেন, সেটি দৃষ্টান্তমূলক।
এদিকে, ক্যারিবীয় কিংবদন্তি ইয়ান বিশপ মনে করেন, তাওহিদ হৃদয় এবং ভারতের শুভমান গিল ভবিষ্যতে বিশ্ব ক্রিকেট শাসন করতে সক্ষম।
বিজ্ঞাপন