দেশপ্রেমিক সশস্ত্র বাহিনী আমাদের গর্ব ও ঐক্যের প্রতীক : ভিসিসি

দেশপ্রেমিক সশস্ত্র বাহিনী আমাদের গর্ব ও ঐক্যের প্রতীক : ভিসিসি

নিজস্ব প্রতিবেদক, মোরনিউজবিডি
নিজস্ব প্রতিবেদক, মোরনিউজবিডি

প্রকাশিত: ১০:৩৭ ২০ নভেম্বর ২০২৪

২১ নভেম্বর বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দিবস। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের অগ্রযাত্রা এবং বিজয় গৌরবের স্মারক সশস্ত্র বাহিনী দিবসে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সদকল সদস্যকে আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ‘ভয়েস অব কনসাস সিটিজেন (ভিসিসি)’ চেয়ারপার্সন মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।

বুধবার (২০ নভেম্বর) ‘২১ নভেম্বর বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দিবস' উপলক্ষে’ গণমাধ্যমে পাঠানো এক শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি বলেন, ‘দেশপ্রেমিক সশস্ত্র বাহিনী আমাদের গর্ব ও ঐক্যের প্রতীক। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় তাদের আত্মত্যাগের ঋণ আমরা কখনোই শোধ করতে পারব না। একাত্তরের মহান সংগ্রামে সকল বীর শহীদ বিশেষ সশস্ত্র বাহিনীর আত্মদানকারী প্রতিটি সদস্যের আত্মার শান্তি কামনা করি গভীর ভালবাসায়। আর সকল মুক্তিযোদ্ধা এবং এই বাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অফুরন্ত শুভেচ্ছা।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর গৌরব শুধুমাত্র স্বাধীনতা যুদ্ধের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। স্বাধীনতা পরবর্তী সময় বাংলাদেশেও সমানভাবে অবদান রেখে চলেছে। আন্তর্জাতিক বিশ্বে সশস্ত্র বাহিনীর গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা বাংলাদেশকেই সম্মানিত করেছে। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে কাজ করে শুধু সেসব দেশে শান্তি ফিরিয়েই আনেনি, আর্থসামাজিক ক্ষেত্রসহ পুনর্বাসন ক্ষেত্রে এনেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। যার জন্য বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ভূয়সী প্রশংসা করে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো।’

তিনি আরো বলেন, ‘জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছেন। এভাবে সশস্ত্রবাহিনী আজ জাতির আস্থার প্রতীক হিসেবে গড়ে উঠেছে। জাতির প্রয়োজনে অর্পণ করা কঠিন দায়িত্ব পালনে সশস্ত্র বাহিনীর নিষ্ঠা ও আন্তরিকতা অনন্য। দেশের প্রতিরক্ষার জন্য প্রশিক্ষণ আর জনগণের জন্য ভালোবাসা এই দুটি বিষয়কে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে আমাদের সশস্ত্রবাহিনীর দেশপ্রেম।’

ভিসিসি চেয়াপার্সন বলেন, ‘স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য আমাদের সুশিক্ষিত ও পেশাদার সশস্ত্র বাহিনী থাকাটা অন্যতম শর্ত। আজকের পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তিন বাহিনীর ধ্যান ধারণা, চিন্তা-চেতনার আধুনিকায়ন করে যেতে হবে। কারণ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ করছে। এই ধারা অব্যাহত রাখাতে এবং মুক্তিযুদ্ধ ও জুলাই আগষ্টের গণঅভ্যুত্থানের চেতনার সমুন্নতি বিধান এবং সর্বোপরি দুর্যোগ মোকাবিলায় সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপনের গুরুত্ব অপরিসীম।’

বিজ্ঞাপন