বৃহস্পতিবার , ২১ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ছবি: সংগৃহীত
প্রকাশিত: ১২:৩৬ ৩ আগস্ট ২০২৪
অতিভারী বর্ষণে মাইনি ও চেঙ্গী নদীতে পানি বাড়ায় পাহাড়ি ঢলে জেলার মেরুং ও কবাখালি ইউনিয়ন ও জেলার সদরের ৩০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। বন্যার পানিতে সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় লংগদু ও সাজেক পর্যটন কেন্দ্রের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এতে সাজেকে আটকে পড়েছেন ৩৭০ জন পর্যটক।
শনিবার (৩ আগস্ট) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করে সাজেক রিসোর্ট কটেজ মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক রাহুল চাকমা জন বলেন, গত কয়েকদিনে টানা বৃষ্টিপাতের ফলে উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বাঘাইহাট এবং মাচালংয়ে সড়কে পানি উঠেছে। ফলে খাগড়াছড়ির সাথে সাজেকের যান চলাচল বন্ধ আছে। তাই আজ সকালে স্কর্ট ছেড়ে যায়নি এবং খাগড়াছড়ি থেকেও কোন গাড়ি সাজেক আসেনি। গতকাল সাজেকে প্রবেশ করা প্রায় ৩৫০ জনের মতো পর্যটক বর্তমানে সাজেক অবস্থান করছেন।
সাজেক-খাগড়াছড়ি কাউন্টারের লাইনম্যান সৈকত চাকমা বলেন, খাগড়াছড়ির বিভিন্নস্থান বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়ায় খাগড়াছড়ি থেকে সাজেকের উদ্দেশ্যে কোনো গাড়ি ছেড়ে যায়নি, সাজেক থেকেও কোন গাড়ি ছেড়ে আসেনি। তবে আজ সকাল থেকে বৃষ্টিপাত বন্ধ রয়েছে। আশা করছি সড়ক থেকে পানি নেমে যাবে এবং বিকেলে যান চলাচল স্বাভাবিক হবে।
সাজেক হিলভিউ রিসোর্টের স্বত্তাধিকারী ইন্দ্রজিৎ চাকমা বলেন, পর্যটকরা বর্তমানে সাজেকে ঘুরেফিরে সময় কাটাচ্ছেন। কোনো অসুবিধা নেই। পানি কমলে হয়তো বিকেলে পর্যটকরা চলে যেতে পারবেন।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার পর্যটক আটকে পড়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, পর্যটকেরা যাতে করে ভালো থাকেন, সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
পাহাড়ি ঢলে দীঘিনালা-লংগদু সড়কের হেড কোয়ার্টার এলাকায় সড়ক ডুবে যাওয়ায় রাঙামাটির লংগদুর সঙ্গে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। ডুবে গেছে মেরুং বাজারও।
মেরুং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদা বেগম লাকি বলেন, শুক্রবার বিকেল থেকে মাইনি নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে। রাস্তাঘাট ডুবে যাচ্ছে। এর মধ্যে মেরুং হেডকোয়ার্টার এলাকায় সড়ক ডুবে যাওয়ায় লংগদু সঙ্গে খাগড়াছড়িসহ সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ আছে। চলতি বছরে তিন দফা বন্যায় এই ইউনিয়নের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
দীঘিনালা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ধর্মজ্যোতি চাকমা বলেন, পাহাড়ি ঢলে খাগড়াছড়ির দীঘিনালার মেরুং ইউনিয়ন ও কবাখালি ইউনিয়নে ২৫ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। টানা বর্ষণের কারণে মাইনী নদীর পানি বেড়ে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে।
বিজ্ঞাপন