বৃহস্পতিবার , ২১ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ০১:৩৬ ১৬ নভেম্বর ২০২৪
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ডায়েরি ও ক্যালেন্ডারে শহীদ জিয়াউর রহমানের নাম অন্তর্ভুক্তসহ ১৯ দাবিতে উপাচার্য ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে শাখা ছাত্রদল। শনিবার ( ১৬ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটায় উপাচার্যের কার্যালয়ে এ স্মারকলিপি প্রদান করেন তারা। এসময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ ও সদস্য সচিব মাসুদ রুমী মিথুনের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার পারভেজ, আনারুল ইসলাম, সদস্য- সাব্বির হোসেন, রাফিজ আহমেদ, নুর উদ্দিন, তরিকুল ইসলাম সৌরভসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।
এসময় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ ১৯ দফা দাবি উপাচার্যের নিকট উত্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো- বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলসহ ক্যাম্পাসের সার্বিক নিরাপত্তা জোরদারে বহিরাগত প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করতে হবে। ডাইনিংয়ে ভর্তুকি বৃদ্ধিসহ হল গুলোতে খাবারের মান বৃদ্ধির করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল খাতে অতিরিক্ত ফি কমাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তা অনতিবিলম্বে বাস্তবায়ন করতে হবে। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল দপ্তরে জবাবদিহিতা নিশ্চিতের মাধ্যমে হয়রানি নিরসণ করতে হবে। নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ ব্যতিত অন্য সকল রাজনৈতিক পক্ষগুলোকে একটি প্লাটফর্মে নিয়ে এসে সকলের সহাবস্থান নিশ্চিত করতে হবে। ক্যাম্পাসের স্বৈরাচারী দোসরদের চিহ্নিত করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। শিক্ষার্থীদের বাধাহীনভাবে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা নিশ্চিত করতে হবে। ক্যাম্পাসে র্যাগিং সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করতে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। সেশনজট নির্মূলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। মাদকমুক্ত ক্যাম্পাস নিশ্চিতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। পর্যাপ্ত লাইটিংয়ের ব্যবস্থা নিশ্চিতসহ ক্যাম্পাসের সকল গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা করতে হবে। চিকিৎসা কেন্দ্রে আধুনিক চিকিৎসা নিশ্চিতে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। আবাসিক হল ও ভবনগুলোতে দ্রুতগতির ওয়াইফাই ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। বিভাগের শ্রেণিকক্ষ সংকট নিরসণসহ নিয়মিত কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি খোলা ও পড়াশোনার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। যাতায়াতে ভোগান্তি নিরসণে পরিবহনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় ডায়েরি ও ক্যালেন্ডারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নাম অন্তর্ভুক্তসহ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিত্তিপ্রস্তরে জিয়া স্মৃতি কমপ্লেক্স নির্মাণ করতে হবে।
দাবির প্রেক্ষিতে উপাচার্য বলেন, ' তোমাদের এ দাবিগুলো কোনো রাজনৈতিক নয় বরং শিক্ষার্থীদেরই প্রত্যাশার দাবি। শিক্ষার্থীদের কল্যাণে যে সমস্ত দাবি তোমরা দিয়েছো তা নিঃসন্দেহে পূরণ করার জন্য কাজ করা করবো।ইতোমধ্যেই ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য নিরাপত্তা সেল গঠন করা হয়েছে এবং নিরাপত্তা সেলের সংখ্যা বাড়িয়েছি। শহিদ জিয়াউর রহমানের যে উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন সেটা আমরা একটা ছকে এনে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট হতো বছরে ২ বার, একাডেমিক কাউন্সিল মিটিং হতো দুই মাসে একবার। আমি সেটা প্রতিমাসে ১ বার করার পরিকল্পনা নিয়েছি। পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসের কাজ সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য মনিটরিং সেল গঠন করবো।
বিজ্ঞাপন