Sorry, you have been blocked

You are unable to access thailand-u31.com

Why have I been blocked?

This website is using a security service to protect itself from online attacks. The action you just performed triggered the security solution. There are several actions that could trigger this block including submitting a certain word or phrase, a SQL command or malformed data.

What can I do to resolve this?

You can email the site owner to let them know you were blocked. Please include what you were doing when this page came up and the Cloudflare Ray ID found at the bottom of this page.

নভেম্বরেই ফিরছেন তারেক রহমান, নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ সতর্কতা!

নভেম্বরেই ফিরছেন তারেক রহমান, নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ সতর্কতা!

নভেম্বরেই ফিরছেন তারেক রহমান, নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ সতর্কতা!

অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি
অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি

প্রকাশিত: ০৮:০৩ ১১ অক্টোবর ২০২৫

১৭ বছর নির্বাসন কাটিয়ে দেশে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে তিনি ঢাকায় ফিরবেন বলে প্রায় নিশ্চিত হয়েছে। দলের ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টারা এবং ঢাকায় অবস্থানরত কয়েকজন কূটনীতিকও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দলীয় এক শীর্ষ নেতা বলেন, “অনেক আলোচনা, প্রস্তুতি এবং অনিশ্চয়তার পর এখন পরিষ্কার—তারেক রহমান নভেম্বরের মাঝামাঝি দেশে ফিরতে চান। নভেম্বরের ১০ থেকে ২০ তারিখের মধ্যেই তিনি লন্ডন ছাড়বেন।” সূত্র জানায়, লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে করে ঢাকায় আসবেন তিনি। যাত্রার আগে সৌদি আরবে গিয়ে ওমরাহ পালনের পরিকল্পনাও রয়েছে তার।

গত কয়েক মাসে লন্ডনে অবস্থানরত অবস্থায় তারেক রহমান দুইজন প্রভাবশালী কূটনীতিকের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলে জানা গেছে। তাদের একজন হলেন যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন। বৈঠকে তিনি দেশে ফেরার ইচ্ছা পুনর্ব্যক্ত করেন এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বিএনপির ভবিষ্যৎ ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সম্প্রতি সাংবাদিকদের বলেন, “তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরবেন। আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি, তবে সুনির্দিষ্ট তারিখ এখনো চূড়ান্ত হয়নি।” দলীয় সূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশনের মাধ্যমে তারেক রহমানের ট্রাভেল পাস ইস্যুর প্রক্রিয়া চলছে।

বর্তমানে তারেক রহমান যুক্তরাজ্যে ইনডেফিনিট লিভ টু রিমেইন (ILR) স্ট্যাটাসে বসবাস করছেন। এই স্ট্যাটাসে স্থায়ীভাবে বসবাস, কাজ এবং পড়াশোনার সুযোগ পাওয়া যায়, এমনকি ব্রিটিশ নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করার অধিকারও থাকে। তবে দীর্ঘদিন বিদেশে থাকার পর দেশে ফেরা রাজনৈতিক ও আইনি দিক থেকে বড় এক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

তারেক রহমানের দেশে ফেরা ঘিরে বিএনপি এবং সরকারের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জন্য একটি বুলেটপ্রুফ মিনিবাস এবং তারেক রহমানের জন্য একটি বুলেটপ্রুফ এসইউভি কেনার প্রক্রিয়া প্রায় সম্পন্ন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে গাড়ি দুটির অনুমোদন দিয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, “তারেক রহমান দেশে ফিরলে সরকার সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেবে। বিএনপির যৌক্তিক অনুরোধগুলো আমরা ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করছি।”

বিএনপির নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) ফজলে এলাহী আকবর বলেন, “২০২৪ সালের ৫ আগস্টের ঘটনার পর বাংলাদেশে গণতন্ত্রের নতুন যাত্রা শুরু হয়েছে। এই যাত্রায় নানা বাধা আসবে, কিন্তু নেতৃত্ব দিতে হবে তারেক রহমানকে। তাই তার নিরাপত্তা এবং কার্যকর ভূমিকা নিশ্চিত করাই এখন অগ্রাধিকার।”

দলীয় পর্যবেক্ষকদের মতে, তারেক রহমানের দেশে ফেরা শুধু বিএনপির রাজনীতির জন্য নয়, দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটেও বড় পরিবর্তন আনতে পারে। ১৭ বছরের নির্বাসনের পর এই প্রত্যাবর্তন হবে নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতার সূচনা।

বিএনপি নেতারা বিশ্বাস করেন, তারেক রহমানের দেশে ফেরা হবে দলের পুনরুত্থানের সূচনা। আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে তাঁর নেতৃত্বে বিএনপি নতুন কৌশল ও আন্দোলন পরিকল্পনা করবে বলে দলীয় সূত্রে ইঙ্গিত মিলেছে।

বিজ্ঞাপন

https://moreshopbd.com/