Sorry, you have been blocked

You are unable to access thailand-u31.com

Why have I been blocked?

This website is using a security service to protect itself from online attacks. The action you just performed triggered the security solution. There are several actions that could trigger this block including submitting a certain word or phrase, a SQL command or malformed data.

What can I do to resolve this?

You can email the site owner to let them know you were blocked. Please include what you were doing when this page came up and the Cloudflare Ray ID found at the bottom of this page.

সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪ক বিলুপ্ত করতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন

সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪ক বিলুপ্ত করতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন

সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪ক বিলুপ্ত করতে চায় অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন

অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি
অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি

প্রকাশিত: ০৫:১৪ ১১ অক্টোবর ২০২৫

অন্তর্বর্তী সরকারের গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি প্রদর্শন সংক্রান্ত সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪(ক) বিলুপ্তির প্রস্তাব বিবেচনা করছে। কমিশন জানিয়েছে, এ প্রস্তাবটি আগামী ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’-এ অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে। এ লক্ষ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত চেয়ে চিঠি দিয়েছে কমিশন।

গতকাল বৃহস্পতিবার কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজের স্বাক্ষরে রাজনৈতিক দল ও জোটসমূহের কাছে এ চিঠি পাঠানো হয়। চিঠিতে বলা হয়েছে, “রাজনৈতিক দল ও জোটগুলোর সঙ্গে জুলাই সনদ ২০২৫ প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নবিষয়ক বৈঠক শেষ হয়েছে। এ পর্যায়ে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪(ক)-এর অধীন বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি প্রদর্শনের বাধ্যবাধকতা বিলুপ্তির প্রস্তাবটি জাতীয় সনদে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টি কমিশন বিবেচনা করছে।”

চিঠিতে আরও বলা হয়, রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের লিখিত মতামত আগামী শনিবার (১১ অক্টোবর) বিকেল ৪টার মধ্যে কমিশনের ই-মেইল বা হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে পাঠাতে অনুরোধ করা হয়েছে। প্রয়োজনে অতিরিক্ত তথ্যের জন্য কমিশনের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগেরও সুযোগ রাখা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান জানান, তারা কমিশনের চিঠি পেয়েছেন, তবে এখনো আনুষ্ঠানিক মতামত দেননি। তিনি বলেন, “আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে পর্যালোচনা করছি। সংবিধানের যেকোনো পরিবর্তন নিয়ে মতামত দেওয়ার আগে দলীয়ভাবে আলোচনা প্রয়োজন।”

২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর আওয়ামী লীগ সরকার ২০১১ সালের ৩০ জুন সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী পাস করে। এই সংশোধনীর মাধ্যমে শাসনতন্ত্রের প্রথম ভাগে “জাতির পিতার প্রতিকৃতি” শিরোনামে একটি নতুন অনুচ্ছেদ—৪(ক)—যুক্ত করা হয়। সেই অনুচ্ছেদে বলা হয়, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার ও প্রধান বিচারপতির কার্যালয় এবং সকল সরকারি ও আধা সরকারি অফিস, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, সংবিধিবদ্ধ সরকারি কর্তৃপক্ষের প্রধান ও শাখা কার্যালয়, সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের দূতাবাস ও মিশনসমূহে সংরক্ষণ ও প্রদর্শন করিতে হইবে।” এই ধারার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি প্রদর্শনকে সাংবিধানিকভাবে বাধ্যতামূলক করা হয়।

ঐকমত্য কমিশনের এই প্রস্তাব প্রকাশের পর রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে তীব্র আলোচনা। অনেকেই একে “সংবিধানের চেতনাবিরোধী” হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ কেউ বলছেন—রাষ্ট্রের প্রতীক ও শ্রদ্ধা প্রদর্শন বাধ্যতামূলক না রেখে ঐচ্ছিক করা উচিত। সংবিধান বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি এই প্রস্তাবটি বাস্তবায়িত হয়, তবে এটি হবে বঙ্গবন্ধুর উত্তরাধিকার সংরক্ষণ সংক্রান্ত সংবিধানের অন্যতম বড় পরিবর্তন।

ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত সংগ্রহের পর ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’-এর খসড়া চূড়ান্ত করা হবে, যা অন্তর্বর্তী সরকারের সাংবিধানিক সংস্কারের মূল ভিত্তি হিসেবে ব্যবহৃত হবে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, এই প্রস্তাবের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় প্রতীক, ইতিহাস ও মতাদর্শ নিয়ে নতুন এক বিতর্কের সূচনা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

https://moreshopbd.com/