মঙ্গলবার , ২৯ জুলাই, ২০২৫ | ১৪ শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ০৭:২৯ ২৮ জুলাই ২০২৫
ভারত-পাকিস্তান দ্বৈরথ মানেই উপমহাদেশে উত্তেজনার সর্বোচ্চ মাত্রা। তবে রাজনৈতিক টানাপড়েন ও সীমান্ত সংঘাতের কারণে প্রায়শই এই দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর ম্যাচ নিয়ে বিতর্ক ওঠে। তবুও খেলার ময়দানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বন্ধ করা উচিত নয় বলে মনে করেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক ও কিংবদন্তি ক্রিকেটার সৌরভ গাঙ্গুলী।
সম্প্রতি এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) এশিয়া কাপ ২০২৫-এর পূর্ণাঙ্গ সূচি প্রকাশ করেছে। তাতে জানানো হয়, ভারত ও পাকিস্তান মুখোমুখি হবে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর, ভেন্যু সংযুক্ত আরব আমিরাত।
এই প্রেক্ষাপটে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে গাঙ্গুলী বলেন:
“সূচিতে আমার কোনো সমস্যা নেই। খেলাধুলা চালিয়ে যেতে হবে। পাহালগামে যা ঘটেছে, তা দুঃখজনক ও নিন্দনীয়। কিন্তু এসব ঘটনার কারণে খেলা বন্ধ করা উচিত নয়। সন্ত্রাসবাদের অবসান হওয়া জরুরি। সেটা অতীত এখন। খেলাটা চলতেই হবে।”
গাঙ্গুলীর এই বক্তব্য এমন সময় এলো, যখন ভারতের একাধিক সংবাদমাধ্যম ও রাজনৈতিক মহল পাকিস্তানের সঙ্গে ম্যাচ বয়কটের দাবি তুলেছে। তবে এসিসি ও বিসিসিআই (ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড) বিষয়টি ইতোমধ্যেই চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি করেছে।
ঢাকায় অনুষ্ঠিত এসিসির এক বৈঠকে বিসিসিআই পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী টুর্নামেন্ট চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে সম্মতি দেয়। এর ফলে ভারত কোনো ম্যাচ বা পুরো টুর্নামেন্ট বর্জনের সুযোগ হারিয়েছে।
বিসিসিআই-এর এক অভ্যন্তরীণ সূত্র জানায়:“এখন আর ভারত এই ম্যাচ বা টুর্নামেন্ট থেকে সরে আসতে পারবে না। সিদ্ধান্তটি এসিসি বৈঠকে চূড়ান্ত হয়েছে। ভারত যেহেতু আয়োজক, তাই এখন আর কিছু পরিবর্তনের সুযোগ নেই। সবকিছু আনুষ্ঠানিকভাবে নির্ধারিত হয়েছে।”
এবারের এশিয়া কাপে ৮টি দল অংশ নিচ্ছে। টুর্নামেন্টটি শুরু হবে ৯ সেপ্টেম্বর, আফগানিস্তান ও হংকংয়ের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে। পুরো টুর্নামেন্ট হবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে, যা ২০২৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
পাকিস্তানের সূচি অনুযায়ী:
১২ সেপ্টেম্বর: পাকিস্তান বনাম ওমান
১৪ সেপ্টেম্বর: ভারত বনাম পাকিস্তান
১৭ সেপ্টেম্বর: পাকিস্তান বনাম সংযুক্ত আরব আমিরাত
এই প্রেক্ষাপটে গাঙ্গুলীর অবস্থান অনেকটা স্পষ্ট — সন্ত্রাসবাদ ও রাজনীতি যতই থাকুক, খেলাধুলার বন্ধন ও প্রতিযোগিতা যেন চলমান থাকে।
বিজ্ঞাপন