বৃহস্পতিবার , ২১ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১২:১৪ ২৬ মে ২০২৪
ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজীম আনারের হত্যাকাণ্ডে শোক যেমন আছে, তেমনি আওয়ামী লীগের একাংশের মধ্যে ক্ষোভও আছে । আনারদের মতো ব্যক্তিদের এমপি হওয়ার সুযোগ দেওয়া নিয়ে দলের বাইরে, দলের ভেতরে চলছে সমালোচনা। সার্বক্ষণিক দলের রাজনীতি করেও যাদের ভাগ্যে মনোনয়ন জোটে না, আনারদের মতো ব্যক্তিরা তিনবার এমপি হয়ে যান কীভাবে সেই কষ্ট ও ক্ষোভ দলের অনেকের মধ্যেই আছে।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের অনেকেই দাবি করেন, অভিজ্ঞ নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের টার্গেট করে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন দেওয়ার প্রবণতা যখন চালু হয়, তখন থেকেই বিতর্কিত ও নানা অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা সংসদে ঢোকার সুযোগ পেয়ে বসেন। দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে শিথিলতা দেখানোর সুযোগে দলে আনারদের মতো বিতর্কিতরা জায়গা করে নিয়েছেন।
তারা বলেন, রাজনীতিতে পেশিশক্তির প্রয়োজন আছে, তবে ২০১৪ সাল থেকে, অর্থাৎ দশম সংসদ নির্বাচনে জয়ের লিপ্সা থেকেই অতিমাত্রায় প্রভাবশালীনির্ভর হয়ে যায় আওয়ামী লীগ।
এদিকে দলীয় সূত্র জানায়, ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজনীতিকদের চেয়ে ব্যবসায়ীদের প্রাধান্য দেওয়া হয় দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে। তখনো ‘ক্ষয়ক্ষতির’ মাত্রা এতটা ভয়াবহ আকার ধারণ করেনি। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে (২০১৪) রাজনৈতিক অভিজ্ঞ নেতারা পেছনে পড়ে যান। সেখানে জায়গা করে নেন ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি নানা অপরাধে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা।
বিজ্ঞাপন