বৃহস্পতিবার , ২১ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ছবি সংগৃহীত
প্রকাশিত: ০৭:৪৮ ৩ আগস্ট ২০২৪
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন পরিস্থিতির মধ্যে গণভবনে নিরাপত্তা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন সরকারপ্রধান। এর আগে আরও দুটি সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শনিবার (০৩ আগস্ট) গণভবনে দুটি সংগঠন এবং রোববার নিরাপত্তা কমিটিসহ সংস্কৃতিকর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। শনি ও রোববার গণভবনে মোট চারটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
আওয়ামী লীগ ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বেলা ১১টায় গণভবনে পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধানমন্ত্রী। বিকেল ৪টায় শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন তিনি। পরের দিন রোববার (৪ আগস্ট) বেলা ১১টায় নিরাপত্তা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটির সভায় প্রধানমন্ত্রী অংশগ্রহণ করবেন। এদিন বিকেল ৪টায় সংস্কৃতিকর্মীদের সঙ্গে বসবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নিরাপত্তা সংক্রান্ত জাতীয় কমিটি (এনসিএসএ) বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা সম্পর্কিত সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী কর্তৃপক্ষ। কমিটিতে ২৭ জন সদস্য রয়েছেন।
এদিকে, গতকাল শুক্রবার রাতে গণভবনে জরুরি বৈঠকে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে আবারও আলোচনায় বসার আগ্রহ প্রকাশ করেছে আওয়ামী লীগ। আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে বসতে খোদ প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়ে তিন নেতাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ ও কৃষিবিদ আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিমকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতি যত্নবান ও সহনশীল থাকতে হবে। একইসঙ্গে তিন নেতা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। ১৪ দলীয় জোটের সিনিয়র নেতারাও এ দলে যুক্ত হবেন।
প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে গত ১৬ জুলাই থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত ১৫০ জন নিহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। যদিও বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ সংখ্যা দুই শতাধিক বলে দাবি করা হচ্ছে। সর্বশেষ গতকাল শুক্রবার সহিংসতার ঘটনায় খুলনায় এক পুলিশ সদস্য এবং হবিগঞ্জে এক যুবক নিহত হয়েছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে গতকাল শুক্রবার সারাদেশে গণমিছিল কর্মসূচি পালিত হয়। মিছিলে কবি, সাহিত্যিক, শিক্ষক, চিকিৎসক, শিল্পী ও কলাকুশলীসহ বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ অংশ নেন। এদিন ঢাকার অন্তত ১১টি স্থানে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এর মধ্যে উত্তরার একটি স্থান ছাড়া সব জায়গায় শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি শেষ হয়।
ঢাকার উত্তরা, খুলনা, হবিগঞ্জ ও সিলেটে গনমিছিলকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে হতাহতের প্রতিবাদে আজ (শনিবার) সারাদেশে বিক্ষোভ মিছিল এবং রোববার থেকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা।
বিজ্ঞাপন