উপস্থাপিকা ভাগিয়ে ভোগ সালমান এফ রহমানের!

উপস্থাপিকা ভাগিয়ে ভোগ সালমান এফ রহমানের!

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক, মোরনিউজবিডি
নিজস্ব প্রতিবেদক, মোরনিউজবিডি

প্রকাশিত: ০৮:২০ ২২ আগস্ট ২০২৪

শুধুমাত্র ব্যাংকলুটপাঠ কিংবা শেয়ারবাজার কেলেঙ্কারিই নয় আরো অনেক অপরাধের সঙ্গে জড়িত ছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক প্রভাবশালী উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। তার অপরাধের ধারাবাহিকতায় প্রতিনিয়তই যুক্ত হচ্ছে লোমহর্ষক বিভিন্ন অপরাধ। এবার ব্যবসায়ীকে জেলে পাঠিয়ে তার সুন্দরী উপস্থাপিকা স্ত্রীকে ভাগিয়ে নেয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে এলো। ভাগিয়ে নেয়া ওই উপস্থাপিকার নাম জাকিয়া তাজিন।

জানা গেছে, উপস্থাপিকার ব্যবসায়ী স্বামীকে জেলে পাঠিয়ে তার সুন্দরী স্ত্রীকে ভাগিয়ে নেন সালমান এফ রহমান। টিভি উপস্থাপক জাকিয়া তাজিনকে দেখেই ভালো লেগে যায় সালমান এফ রহমানের। তারপর ছলেবলে কৌশলে তাকে ভাগিয়ে নেন সালমান।

দেশে শেয়ারবাজার কারসাজিতে বছরের পর বছর আলোচিত সালমান এফ রহমানকে নিয়ে এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য নিজেই ফাঁস করেছেন ভুক্তভোগী ইনডেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিউল্লা আল মুনির।

শফিউল্লাহ আল মুনির বলেন, জাকিয়া তাজিন এক সময় শেয়ার মার্কেট বিষয়ক নিউজ প্রেজেন্টার হিসেবে কাজ করতেন। তখন থেকেই ওনার সঙ্গে সালমান এফ রহমানের একটা ভালো সম্পর্ক ছিল। সবাই বলে- তাদের মধ্যে কোনো আইনগত বৈধ সম্পর্ক ছিল না। তাদের কাছের মানুষের কাছ থেকেও শোনা যেত অনৈতিক সম্পর্কের গুঞ্জন। তাকে তালাক দিতে মুনির রাজি না হওয়ায়, সালমান এফ রহমানের গুপ্ত চরিত্রটা বেরিয়ে আসে নগ্নরূপে।  

এ বিষয়ে মুনির বলেন, সালমান এফ রহমান আমাকে ডেকে নিয়ে যায় তার অফিসে এবং সেখানে তিনি বলেন যে, তুমি তাজিনকে ডিভোর্স দিবা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে। সেই সঙ্গে ৩০০ টাকার একটা স্ট্যাম্প দেখিয়ে বলেন যে, তুমি এখানে সই করবা।

ভুক্তভোগী এ ব্যবসায়ী বলেন, ওই স্ট্যাম্পে ৮টি শর্ত লেখা ছিল। তার মধ্যে ছিল- আমি কখনোই আমার কোম্পানিকে নিজের বলে দাবি করতে পারব না। আমার স্ত্রীর নামে সোশ্যাল মিডিয়া বা টিভি চ্যানেল কোথাও কোনো অভিযোগ করতে পারব না। আমার ছেলের কাস্টোডি চাইতে পারব না।

মুনির বলেন, তখন আমি বললাম যে, এটা কিসের জন্য। আমার অপরাধটা কী? আমরা হাজব্যান্ড-ওয়াইফ, আমাদের মধ্যে যদি কোনো সমস্যা থাকে সেটা আমরা নিজেরাই সমাধান করতে পারব, আমাদের ফ্যামিলিও আছে। তিনি বললেন, না, তা হবে না। সোজা পথ হচ্ছে- তুমি এখন যাবা এবং তোমার স্ত্রীকে তুমি ডিভোর্সের নোটিস পাঠাবা এবং তাকে ডিভোর্স দিবা।

তিনি বলেন, তাজিনকে ডিভোর্স দেওয়ার জন্য সলমান এফ রহমান আমাকে এরকম প্রেসার দেওয়ার পরেও আমি যখন রাজি হলাম না, তারপর থেকেই বিষয়টা প্রকাশ্যে আসলো এবং আমার ওপর ওপেনলি অ্যাটাক শুরু হলো। এর আগ পর্যন্ত কিন্তু বিষয়টা গোপনই ছিল বা কেউ জানত না।

সলমান এফ রহমানের এই নারীলিপ্সার বলি হয়ে ব্যবসায়ী শফিউল্লাহ আল মুনিরকে গুম হয়ে থাকতে হয় দীর্ঘ এক মাস। মামলার হামলায় দুর্বিষহ হয়ে ওঠে তার জীবন। যদিও ২০২০ সালের শেষদিকে তালাক হয়ে যায় তাদের।

প্রসঙ্গত, গত ১৩ আগস্ট ছদ্মবেশে পালানোর সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানকে ঢাকার সদরঘাট এলাকা থেকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মহানগর পুলিশ।

বিজ্ঞাপন