রবিবার , ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ১১ ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ছবি: সংগৃহীত
প্রকাশিত: ০৬:১৬ ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
ঢাকার কচুক্ষেত, উত্তরা এবং আগারগাঁও অঞ্চলে অবস্থিত আয়নাঘর পরিদর্শন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা। তাদের সঙ্গে ছিলেন ভুক্তভোগীদের পরিবারের সদস্যরা এবং ভারতীয় সাংবাদিক অর্ক দেব, যিনি ‘ইনস্ক্রিপ্টিডটমি’-এর সম্পাদক।
অর্ক দেব, যিনি পূর্বে আনন্দবাজার পত্রিকা এবং নিউজ১৮ সংবাদমাধ্যমে কাজ করেছেন, আয়নাঘরের ভেতরের চরম অমানবিক পরিস্থিতি নিয়ে নিজের ফেসবুকে একটি পোস্ট করেছেন। তিনি সেখানে একটি ইলেকট্রিক চেয়ারের ছবি শেয়ার করেন এবং লিখেন, “এই চেয়ারটা দেখে রাখা জরুরি। ফ্যাসিবাদের জননী শেখ হাসিনার আয়নাঘরের একটি কক্ষে রাখা এই চেয়ার (আগারগাঁও অঞ্চলে)। ‘হাই ভ্যালু’ বন্দিদের ইলেকট্রিক শক দিতে ব্যবহার হতো এই চেয়ার।”
অর্ক দেব তার পোস্টে আরো উল্লেখ করেন, ডিজিএফআইয়ের কাউন্টার টেররিজম ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো (সিটিআইবি) এই আয়নাঘরের দায়িত্বে ছিল এবং সেখানে বন্দিদের কান্না ও গোঙানির শব্দ ভেসে আসতো এক্সস্ট ফ্যানের শব্দের মধ্যে। তিনি বলেন, “আজ থেকে গোটা বিশ্ব আয়নাঘরের সব ছবি দেখবে।”
একটি অন্য পোস্টে, অর্ক দেব মাইকেল চাকমার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। তিনি জানান, ১১৩ নম্বর সেলটি বাথরুমের পাশে ছিল এবং সেখানে ২৪ ঘণ্টা সিসি ক্যামেরা চলত। তিনি নিজে এই সেলে প্রায় দুই বছর বন্দি ছিলেন।
আয়নাঘর পরিদর্শন শেষে, আওয়ামী লীগ শাসনামলকে ‘আইয়ামে জাহিলিয়াত’ (অজ্ঞতার যুগ) সঙ্গে তুলনা করেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি গুম কমিশনকে আয়নাঘর আবিষ্কারের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “গত সরকার এই আইয়ামে জাহিলিয়াতকে প্রতিষ্ঠিত করেছে সর্বত্র।”
এদিকে, আয়নাঘরের অবস্থা ও বন্দিদের অমানবিক treatment-এর বিষয়টি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করেছে।
বিজ্ঞাপন