রবিবার , ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ১১ ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ছবি: সংগৃহীত
প্রকাশিত: ০৮:৩৫ ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
মহানগরী ঢাকার সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারে সোমবার দুপুরে এসে পৌঁছায় টিসিবি’র পণ্যবোঝাই ট্রাক। সোজা টিসিবির ট্রাকের দিকে ছুটে যান উপস্থিত নারী-পুরুষেরা। কিছু সময়ের মধ্যে দুই শতাধিক মানুষের সারি তৈরি হয়, যেখানে শুধু নিম্ন আয়ের মানুষদের থাকার কথা থাকলেও দেখা গেছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী, মধ্যবিত্ত, চাকরিজীবীসহ নানা পেশার মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। পণ্য বিক্রি শুরু হওয়ার পর, জানা যায় ২৫০ জন মানুষের জন্য পণ্য থাকলেও লাইনে দাঁড়ানো অনেকেই শেষ পর্যন্ত পণ্য পাবেন না।
সম্প্রতি এক মাস ৯ দিন বন্ধ থাকার পর, সোমবার থেকে আবারও শুরু হয়েছে টিসিবি’র ভ্রাম্যমাণ পণ্য বিক্রি কার্যক্রম। এমনকি রমজান মাসের আগে, সরকারী দাম নির্ধারণ করেও টিসিবি পণ্য বিক্রির কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করছেন বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ।
ফরিদ হোসেন, একজন চাকরিজীবী, জানান, তিনি এখানে এসে দাঁড়িয়ে আছেন কারণ বাজারে দ্রব্যের দাম বাড়ায় সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। সাকিল হোসেন, একজন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী, বলেন যে সয়াবিন তেল ১৯০ টাকা লিটারে বিক্রি হলেও টিসিবি থেকে তা মাত্র ১০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
তবে অনেকেই অভিযোগ করেছেন যে, এসব পণ্যের উপকারি উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হচ্ছে না। নার্গিস আক্তার নামে একজন বলেন, এক পরিবারের এক সদস্য পণ্য কিনলে তো যথেষ্ট, কিন্তু বহু পরিবার একসাথে লাইনে দাঁড়িয়ে পণ্য কিনছে, যা প্রকৃত অভাবীদের পণ্য পাওয়ার সুযোগ কমিয়ে দিচ্ছে। কিছু দোকানদারও এই সুযোগ নিয়ে পণ্য কিনে আবার বিক্রি করছে বলে অভিযোগ।
টিসিবি’র ডিলার মোস্তফা জানান, একজন ভোক্তা সর্বোচ্চ দুটি ভোজ্যতেল, দুই কেজি মসুর ডাল, এক কেজি চিনি, দুই কেজি ছোলা এবং ৫০০ গ্রাম খেজুর কিনতে পারবেন। এর মোট মূল্য ৫৮৮ টাকা।
এদিকে, রাজধানীতে ৫০টি স্থানে ট্রাকসেল কার্যক্রম পরিচালিত হলেও, মহাখালী, প্রেস ক্লাব, যাত্রাবাড়ীসহ কিছু এলাকায় এই কার্যক্রম শুরু হয়নি।
এবারের কার্যক্রমটি রমজান মাসে বাজার স্থিতিশীল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে নেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন