বুধবার , ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫ | ২ মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ছবি : সংগৃহীত
প্রকাশিত: ১১:১৭ ১৫ জানুয়ারী ২০২৫
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান, যিনি আওয়ামী লীগের বড় নেতা হিসেবে পরিচিত ছিলেন, বর্তমানে দুর্নীতির অভিযোগে এক দুর্দিন পার করছেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর তিনি নিজেকে আওয়ামী লীগ বিরোধী হিসেবে পরিচয় দেন এবং বিএনপিপন্থী হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় উপস্থিতি জানান। তার কর্মক্ষেত্র বেবিচকেও তার কর্মক্ষমতা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
গত ১৫ বছরে হাবিবুর রহমান বেবিচকের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে নানা সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছেন, কিন্তু দুর্নীতির অভিযোগ তার বিরুদ্ধে উঠেছে। বর্তমানে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। জানা গেছে, গত ২৮ নভেম্বর সিভিল এভিয়েশনে প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর বিমানবন্দর উন্নয়ন কাজ অনেক ক্ষেত্রে স্থবির হয়ে পড়েছে।
এদিকে, অযোগ্যতা, দুর্নীতি ও খামখেয়ালির কারণে হাবিবুর রহমানকে দুদক থেকে বেবিচকের কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে দায়িত্ব না দেয়ার পরামর্শ দেয়া হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মহিবুল হকের দোসর হিসেবে পরিচিত হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে ফ্লাইট সেফটি থেকে পদোন্নতি নিয়ে চীফ ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার পর অর্থ লোপাটের।
হাবিবুর রহমানের কর্মজীবনে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠে এসেছে। ২০০২ সালে চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে চিফ সিকিউরিটি অফিসারের দায়িত্বে থাকার সময় মানুষের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের কারণে তাকে বদলি করা হয়। এছাড়াও ২০০৫, ২০০9, এবং ২০১১ সালে অনিয়মের কারণে তাকে শাস্তি দেয়া হয়।
বর্তমানে, বেবিচকের বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে এবং এর সাথে নানা ষড়যন্ত্রের অভিযোগও উঠছে। নবনিযুক্ত চেয়ারম্যান, এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মনজুর কবীর ভূঁয়া জানিয়েছেন যে, অভিযোগগুলো তদন্ত করা হবে এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে হাবিবুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি ফোনে সাড়া দেননি।
বিজ্ঞাপন