রবিবার , ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৮ পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ০১:২৬ ২৪ নভেম্বর ২০২৪
বেনাপোল থেকে ঢাকাসহ দূরপাল্লার সব বাস চলাচল তিন দিন ধরে বন্ধ রয়েছে, এবং এখনও কোনো সমঝোতা হয়নি। গত শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে বাস মালিক সমিতি এ ধর্মঘট শুরু করেছে, এর ফলে পাসপোর্টযাত্রীদের চরম ভোগান্তি এবং নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। বিকল্প ব্যবস্থায় অনেক যাত্রী অতিরিক্ত খরচে বাড়ি ফিরছেন।
এ বিষয়ে, পরিবহন মালিকরা অভিযোগ করেছেন যে প্রশাসন তাঁদের সাথে আলোচনা করেও কোনো সমাধান করতে পারেনি। বাস মালিক সমিতির নেতারা জানান, আগে ঢাকা থেকে আসা বাসগুলো বেনাপোল চেকপোস্টে যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে খালি বাস নিয়ে টার্মিনালে চলে যেত, কিন্তু শুক্রবার রাত ৩টার পর বাসগুলোতে যাত্রীদের জোরপূর্বক নামিয়ে দিয়ে টার্মিনালে পাঠানো হয়। এতে যাত্রীরা নিরাপত্তাহীনতায় পড়েন এবং বেশ কিছু যাত্রীকে স্থানীয় বাসে চেপে চেকপোস্টে পাঠানো হয়।
রবিবার সকালে যশোর জেলা প্রশাসকের দপ্তরে উভয় পক্ষের মধ্যে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়, তবে সেখানে কোনো সমঝোতা হয়নি। প্রশাসন জানিয়েছে, যানজট নিরসনে এটি করা হয়েছে, এবং পৌর টার্মিনাল থেকে যাত্রী ওঠানো ও নামানো বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। অন্যদিকে, পরিবহন মালিকরা বলেছেন, বাসগুলো যদি পুরনো সীমান্ত টার্মিনাল ব্যবহার করতে না পারে, তবে তারা চলাচল বন্ধ রাখবেন।
পাসপোর্টযাত্রীরা অভিযোগ করেছেন যে, ভারত থেকে আগত যাত্রীদের সুবিধার জন্য পেট্রাপোলের ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের সাথে যাত্রী টার্মিনাল নির্মাণ করা হলেও, বাংলাদেশে সীমান্ত টার্মিনাল বন্ধ করে দুই কিলোমিটার দূরের নতুন টার্মিনালে পাঠানো হচ্ছে, যা তাদের জন্য বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা বলেছেন, পূর্বের নিয়ম অনুযায়ী বাস চলাচল করতে দিতে হবে, না হলে ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে। এদিকে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নতুন টার্মিনালে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য আনসার সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে এবং রাত ১২টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত পাসপোর্টযাত্রীদের সীমান্তে নামানোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞাপন