বৃহস্পতিবার , ২১ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ০৮:৩০ ১৩ নভেম্বর ২০২৪
জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (নিটোর) চিকিৎসা নিতে আসা জুলাই আন্দোলনের আহতদের দেখতে না যাওয়ার অভিযোগে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের গাড়ি আটক করেন আহতরা। এক পর্যায়ে আহতরা ক্ষুব্ধ হয়ে উপদেষ্টার গাড়ির উপর উঠে যায়।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ১টার নিটোরের জরুরি বিভাগের সামনে এধরনের ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থলে দেখা যায়, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিটোর পরিদর্শনে আসেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক ও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম । তারা চতুর্থ তলার পুরুষ ওয়ার্ড প্রায় এক ঘণ্টারও বেশি সময় নিয়ে ঘুরে দেখে চলে যেতে চাইলে। তিন তলার ওয়ার্ডে থাকা আহতদের দেখতে না যাওয়ায় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে এবং তারা নিচে এসে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি গাড়ি আটকে দেন।
কেউ একজন গাড়ির সামনে বসে পড়েন। আরেকজন গাড়ির ছাদে উঠে পড়েন এবং খোপ প্রকাশ করেন নেমে আসতে বলেন গাড়ির চালককে। পরে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা এবং ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত সেখান থেকে পালিয়ে অন্য একটি গাড়িতে করে বেরিয়ে যান। পরে আহতরা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ওই গাড়ি ও প্রটোকলে থাকা পুলিশের একটি গাড়ি আটকে দেয় এবং রাস্তায় অবস্থান নেয়।
আহত শিক্ষার্থী মো. হাসান মোরনিউজকে বলেন, আমাদের এক একটা ওয়ার্ডে ৪৮ জন আহত মানুষ আছে। কিন্তু উনারা উনাদের পছন্দের বিদেশি কয়েকজন সাংবাদিক নিয়ে এসেছেন। আমাদের দেশীয় কোনো সাংবাদিককে ভিতরে ঢুকতে দেন নি । তারা কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে চলে গেছেন। কিন্তু আমাদের সাথে কোনো কথা বলেননি। আমরা কথা বলতে গেলে আমাদের বাধা দেওয়া হয়। আমাদের সামান্য ট্রিটমেন্ট দিয়ে তিন মাস থেকে বসিয়ে রাখা হয়েছে। আমার পায়ে নয়টি অপারেশন তারপরও এখন পর্যন্ত সুস্থ হতে পারিনি। আমাদের অপারেশনে শুধু নিয়ে যায় এতটুকুই। আমরা চাই আমাদের সঙ্গে কথা বলুক। আমাদের জন্য ঘোষিত এক লাকা টাকা এবং ভালো মানের চিকিৎসা দিক।
বিজ্ঞাপন