বৃহস্পতিবার , ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ৪ পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রকাশিত: ০৯:৫৬ ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫
যুদ্ধবিধ্বস্ত সুদানের করদোফান প্রদেশের ডিলিং শহরে কামানের গোলাবর্ষণে তিন শিশুসহ অন্তত নয়জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) সুদানের একটি বেসরকারি সংস্থা দ্য নুবা মাউন্টেনস এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়।
বিবৃতিতে বলা হয়, আব্দেলাজিজ আল-হিলুর নেতৃত্বাধীন সুদান পিপলস লিবারেশন মুভমেন্ট–নর্থ (এসপিএলএম-এন) বাহিনী এই গোলাবর্ষণ চালিয়েছে। গোষ্ঠীটি আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)–এর মিত্র হিসেবে পরিচিত। হামলায় ডিলিং শহরের আবাসিক এলাকাগুলো লক্ষ্যবস্তু করা হয়।
সংস্থাটির তথ্যমতে, দক্ষিণ করদোফানের তাইতাল এলাকা থেকে কামানের গোলাবর্ষণ শুরু হয়। পরে সুদানের সেনাবাহিনী ওই এলাকায় পাল্টা অভিযান চালিয়ে তা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত সুদানের সেনাবাহিনী, এসপিএলএম-এন কিংবা তাদের মিত্র আরএসএফ—কোনো পক্ষই আনুষ্ঠানিকভাবে মন্তব্য করেনি।
এদিকে, দক্ষিণ করদোফানের কাদুগলি ও ডিলিং শহর সংঘাত শুরুর পর থেকেই আরএসএফ ও এসপিএলএম-এন গোষ্ঠীর অবরোধের মধ্যে রয়েছে। দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে এসব এলাকা কার্যত অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছে এবং নিয়মিত কামান ও ড্রোন হামলার শিকার হচ্ছে।
করদোফানের উত্তর, পশ্চিম ও দক্ষিণ—এই তিন রাজ্যে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে তীব্র লড়াই চলছে। এতে কয়েক হাজার মানুষ এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।
বর্তমানে আরএসএফ সুদানের ১৮টি রাজ্যের মধ্যে পশ্চিমাঞ্চলের দারফুর অঞ্চলের পাঁচটি রাজ্য পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করছে। কেবল উত্তর দারফুরের কিছু অংশ এখনো সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
অন্যদিকে, সুদানের সেনাবাহিনী দক্ষিণ, উত্তর, পূর্ব ও মধ্যাঞ্চলের মোট ১৩টি রাজ্যের অধিকাংশ এলাকা নিজেদের দখলে রেখেছে। এর মধ্যে রাজধানী খার্তুমও অন্তর্ভুক্ত।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের এপ্রিলে সুদানের সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে শুরু হওয়া সংঘর্ষে ইতোমধ্যে হাজার হাজার মানুষ নিহত এবং লাখ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
