"যেই ভারত হাসিনা পালে সেই ভারত ভেঙ্গে দাও"। " বাবরের পথ ধরো সেভেন সিস্টার্স স্বাধীন করো"

"যেই ভারত হাসিনা পালে সেই ভারত ভেঙ্গে দাও"। " বাবরের পথ ধরো সেভেন সিস্টার্স স্বাধীন করো"

অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি
অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি

প্রকাশিত: ১১:৩৮ ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫

ঢাকার রামপুরা থেকে মধ্য বাড্ডা পর্যন্ত বুধবার বিকেলে শহরের আকাশ অগ্নিঝরা আবহে ভারী হয়ে ওঠে। হাজারো দেশপ্রেমিক ছাত্র ও নাগরিক ভারতীয় হাইকমিশন অভিমুখে ‘মার্চ টু ইন্ডিয়ান হাইকমিশন’ কর্মসূচি পালন করে। এটি আয়োজন করে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সঙ্গে যুক্ত একাধিক সংগঠনের মোর্চা ‘জুলাই ঐক্য’। মিছিলটি পুলিশি ব্যারিকেডের মুখে থেমে গেলেও বিক্ষোভ সমাবেশে রূপ নেয়।

বিক্ষোভকারীরা এক কণ্ঠে ক্ষোভ ও প্রতিবাদের স্লোগান দেন, যেমন “যেই ভারত খুনি পালে সেই ভারত ভেঙ্গে দাও”, “যেই ভারত হাসিনা পালে সেই ভারত ভেঙ্গে দাও”, “বাবরের পথ ধরো সেভেন সিস্টার্স স্বাধীন করো”, “যেই ভারত জঙ্গি পালে সেই ভারত ভেঙ্গে দাও”, “যেই ভারত কসাই পালে সেই ভারত ভেঙ্গে দাও”, “দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা”, “গোলামী না, আজাদী আজাদী”। এ সময়ে তারা সরকারের প্রতি শক্তিশালী হুঁশিয়ারিও প্রদান করে।

জুলাই ঐক্যের নেতা এবি জুবায়ের তীব্র ভাষায় বলেন, “ভারত গণহত্যাকারী ও মানবতাবিরোধী অপরাধীদের আশ্রয় দিচ্ছে। যদি এই খুনিদের ফিরিয়ে না আনা হয়, বাংলাদেশের ছাত্র সমাজ এবং নাগরিকরা প্রতিশোধ নেবে।” ডাকসুর সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ যোগ করেন, “আমাদের ভাইকে হত্যার চেষ্টা ভারতীয়দের হাতেই হয়েছে। আর কোনো আপোষ হবে না; পরবর্তী বার আমরা আরও শক্তিশালীভাবে ফিরব।”

মিছিলটি পুলিশের বাধার মুখে মধ্য বাড্ডা এলাকায় থেমে গেলেও সমাবেশে উপস্থিত হাজারো মানুষ তাদের ক্ষোভ এবং প্রতিবাদের জোরালো বার্তা দেন। পুলিশ অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও বিক্ষোভ থামাতে পারেনি।

এই কর্মসূচি ভারতের ওপর এবং সরকারের প্রতি তীব্র হুঁশিয়ারি হিসেবে নেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশের ছাত্র সমাজ ও নাগরিক সমাজ এটিকে গণতান্ত্রিক অধিকার, দেশপ্রেম এবং শক্তিশালী প্রতিবাদের নিদর্শন হিসেবে দেখছে।

বিজ্ঞাপন

https://moreshopbd.com/