বৃহস্পতিবার , ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ | ৪ পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রকাশিত: ১০:৫৯ ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫
সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর একটি ঘাঁটিতে ভয়াবহ ড্রোন হামলায় ৬ জন বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত হয়েছেন। একই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৮ জন। এই নৃশংস হামলার ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশের পাশাপাশি তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, শনিবার সুদানের মধ্যাঞ্চলীয় দক্ষিণ কোরদোফান রাজ্যের কাদুগলি শহরে অবস্থিত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর একটি লজিস্টিক ঘাঁটিতে এই ড্রোন হামলা চালানো হয়।
জাতিসংঘের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস জানান, নিহত ও আহত সবাই বাংলাদেশি নাগরিক। তারা জাতিসংঘের ইউনাইটেড নেশনস ইন্টারিম সিকিউরিটি ফোর্স ফর আবিয়েই (ইউএনআইএসএফএ)-এর সদস্য হিসেবে শান্তিরক্ষার দায়িত্ব পালন করছিলেন।
বিবৃতিতে গুতেরেস বলেন, ‘সুদানের কাদুগলিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর লজিস্টিক ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে চালানো এই ভয়াবহ ড্রোন হামলার আমি তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা চালানো আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় গুরুতর অপরাধ এবং এটি যুদ্ধাপরাধ হিসেবে গণ্য হতে পারে। শান্তিরক্ষীদের লক্ষ্য করে এ ধরনের হামলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এই ঘটনার জন্য দোষীদের জবাবদিহির আওতায় আনতেই হবে।’
এদিকে সুদানের সেনাবাহিনী এই হামলার জন্য আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)-কে দায়ী করেছে। তবে হামলার বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে আরএসএফের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
উল্লেখ্য, সুদানের সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে গত দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে ভয়াবহ গৃহযুদ্ধ চলছে। এই সংঘাতে দেশটিতে নিরাপত্তা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটেছে এবং বারবার আন্তর্জাতিক বাহিনী ও বেসামরিক নাগরিকরা হামলার শিকার হচ্ছেন।
বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের নিহত হওয়ার ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলে গভীর উদ্বেগ ও শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শান্তিরক্ষী মিশনে বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে এবং এই হামলা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের নিরাপত্তা নিয়েও নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।
