সমুদ্রতলে মিলল ১৭৫ বছর পুরনো শ্যাম্পেনের ভাণ্ডার

সমুদ্রতলে মিলল ১৭৫ বছর পুরনো শ্যাম্পেনের ভাণ্ডার

অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি
অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি

প্রকাশিত: ১০:২২ ২১ আগস্ট ২০২৪

জাহাজের মধ্য থেকে উদ্ধার হওয়া জলের বোতলের মাটি পরীক্ষা করে জানা গেছে, সেগুলো ১৮৫০ থেকে ১৮৬৭ সালের মধ্যে তৈরি।
ঊনবিংশ শতাব্দীতে ডুবে যাওয়া একটি জাহাজের সন্ধান পেয়েছে ব্রিটেনের এক ডুবুরি দল। সেটিতে সন্ধান চালিয়ে মূল্যবান সামগ্রীর পাশাপাশি পাওয়া গেছে ১৭৫ বছরের পুরনো প্রচুর শ্যাম্পেনের বোতল। শত শত বছর ধরে সমুদ্রতলে পড়ে থাকা এই শ্যাম্পেনের দাম যে কার্যত অমূল্য তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

গত ১১ জুলাই বাল্টিক সাগরে অবস্থিত ওল্যান্ড দ্বীপের দক্ষিণ থেকে প্রায় ২০ নটিক্যাল মাইল দূরে ডুব দিয়েছিলেন ২ ডুবুরি। প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে সেখানে অনুসন্ধান চালাচ্ছিলেন তারা। সেখানেই তাদের নজরে পড়ে একটি ডুবন্ত জাহাজ।

জাহাজের মধ্য থেকে উদ্ধার হওয়া জলের বোতলের মাটি পরীক্ষা করে জানা গেছে, সেগুলো ১৮৫০ থেকে ১৮৬৭ সালের মধ্যে তৈরি।
জাহাজের মধ্য থেকে উদ্ধার হওয়া জলের বোতলের মাটি পরীক্ষা করে জানা গেছে, সেগুলো ১৮৫০ থেকে ১৮৬৭ সালের মধ্যে তৈরি।
একটি ডাইভিং গ্রুপের সদস্য ছিলেন এই দু’জন। বিষয়টি নজরে পড়ার পর নিজেদের গ্রুপকে বিষয়টি জানায় তারা। এরপর সেখানে হাজির হয় ৪০ জন ডুবুরির একটি দল। ওই দলের প্রধান টমস স্টাচুরা বলেন, সমুদ্রের প্রায় ১৯০ ফুট গভীরে ওই জাহাজে সন্ধান চালিয়ে পাওয়া গেছে সেল্টার নামের এক জার্মান ব্র্যান্ডের মিনারেল ওয়াটারের বোতল ও প্রচুর পরিমাণ শ্যাম্পেন।

উনিশ শতকের ওই জাহাজটি কার্যত ভালো অবস্থাতেই রয়েছে। শ্যাম্পেন ও পানির বোতলগুলো বড় বড় ঝুড়িতে ভরা ছিল। আরও চমকপ্রদ বিষয় হল, জাহাজ থেকে পাওয়া গেছে মাটির তৈরি কারুকাজ করা প্রচুর বাসনপত্র। ওই মাটির বাসন যে সংস্থার তৈরি সেই সংস্থা এখনও রয়েছে। সংস্থাটি থেকে স্বীকার করা হয়েছে বোতলগুলো তাদেরই তৈরি। তবে শ্যাম্পেনগুলো কোনও সংস্থার তা এখনও স্পষ্ট নয়।
জানা গেছে, জাহাজের মধ্য থেকে উদ্ধার হওয়া জলের বোতলের মাটি পরীক্ষা করে জানা গেছে, সেগুলো ১৮৫০ থেকে ১৮৬৭ সালের মধ্যে তৈরি।

জাহাজের মধ্য থেকে উদ্ধার হওয়া জলের বোতলের মাটি পরীক্ষা করে জানা গেছে, সেগুলো ১৮৫০ থেকে ১৮৬৭ সালের মধ্যে তৈরি।
জাহাজের মধ্য থেকে উদ্ধার হওয়া জলের বোতলের মাটি পরীক্ষা করে জানা গেছে, সেগুলো ১৮৫০ থেকে ১৮৬৭ সালের মধ্যে তৈরি।
অনুমান করা হচ্ছে, সেটি কোনও বাণিজ্যিক জাহাজ ছিল। সেই সময় এগুলো বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি করা হতো। মূলত রাজারা এই সব পান করতেন। এ বোতলের এত দাম ছিল যে সেগুলো একস্থান থেকে অন্য স্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হত। জাহাজে যা মালপত্র রয়েছে তা উদ্ধার করতে এক বছর লেগে যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের দাবি, ১৮৫২ সাল নাগাদ রাশিয়াতে বাণিজ্য করতে যাচ্ছিল ওই জাহাজটি। তবে মাঝপথেই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে সমুদ্রে সলিল সমাধি হয় জাহাজটির।

বিজ্ঞাপন