বৃহস্পতিবার , ২১ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ০৯:৩৫ ১৮ আগস্ট ২০২৪
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. ফরিদ আহমেদের পদত্যাগসহ চার দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
রোববার (১৮ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও মানবিকী অনুষদ ভবনে বিভাগের সামনে থেকে একটি মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিল শেষে শহীদ মিনারের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তারা।
শিক্ষার্থীদের অন্যান্য দাবিগুলো হলো- অতি দ্রুত ছাত্র সংসদ চালু করে নির্বাচনের আয়োজন করা; সাম্প্রতিক অরাজক পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের যে ক্ষতি হয়েছে তা অতি দ্রুত পুষিয়ে নেওয়া; বিভাগের সব ক্লাস ও পরীক্ষা সঠিক সময়ে নেওয়া।
সমাবেশে শিক্ষার্থী রুবিনা জাহান তিথি বলেন, যেখানে চিন্তা ভাবনার সুস্থতা নেই, সেখানে দর্শন পড়ারও যৌক্তিকতা নেই। অধ্যাপক ফরিদ যে দর্শন বোঝেন না সেটি আমরা যারা তার ক্লাসের তারা সবাই জানি। তিনি যে মনুষ্যত্বহীন ও নৈতিকতাহীন সেটাও এখন আমাদের জানা হলো। যেখানে একজন শিক্ষকের উচিত শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানো, সেখানে তিনি শিক্ষার্থীদের মানুষ বলেই মনে করেননি। বরং তিনি আরও পুলিশি হামলাকে উসকে দিয়েছেন। এ ধরনের শিক্ষকের কাছে থেকে আমাদের শেখার কিছু নেই। আমরা চাই তিনি দ্রুত জনসম্মুখে এসে শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাইবেন এবং দ্রুত নিজ পদ থেকে ইস্তফা দেবেন।
শিক্ষার্থী মো. রিফাত বলেন, যেখানে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব শিক্ষকের, সেখানে তিনি শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের আক্রমণকে আরও উসকে দিয়েছেন। তিনি কখনোই আমাদের সঠিকভাবে ক্লাস-পরীক্ষা আয়োজন করতে পারেননি। তিনি বিভাগের শিক্ষার্থীদের কল্যাণে কখনও কোনো কাজ করেননি। অপরদিকে তিনি শিক্ষার্থীদের ওপর আওয়ামী-ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের আক্রমকে সমর্থন দিয়েছেন। শিক্ষার্থীদের তিনি রাজাকার বলে তাদের ওপর পুলিশি আক্রমণকে সমর্থন করেছেন। এমন শিক্ষকের কাছে আমরা কেউ ক্লাস করতে চাই না। আমরা তাকে বিভাগ থেকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি এবং দ্রুত তার পদত্যাগকে কার্যকর করার দাবি জানাচ্ছি।
বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ শেষে শিক্ষার্থীরা বিভাগীয় বর্তমান সভাপতি অধ্যাপক ড. মুনির হোসেন তালুকদারের কাছে স্মারকলিপি দেন।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর বর্বরোচিত হামলায় অধ্যাপক ড. ফরিদ আহমেদ ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে পুলিশের গুলিবর্ষণ বন্ধ করতে না বলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের 'রাজাকার' সম্বোধন করেন। যার একটি স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
বিজ্ঞাপন