বৃহস্পতিবার , ২১ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ০৭:৫৯ ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বাবর আজমের অধিনায়কত্ব আরও একবার প্রশ্নের মুখে। ব্যাট হাতে ছন্দে নেই অনেকটা দিন। বিশ্বকাপের লিগ পর্ব থেকে বাদ পড়ার পর তার কাছ থেকে কেড়ে নেয়া হয়েছিল অধিনায়কের মর্যাদা। পাকিস্তান ক্রিকেট এরপর ফিরে যায় দুই অধিনায়ক তত্ত্বে। শাহিন আফ্রিদি টি-টোয়েন্টি আর শান মাসুদ আসেন টেস্ট অধিনায়কের পদে। এরপরেও শান্তি ফেরেনি।
এক সিরিজ পরেই অধিনায়ক পদে ফিরে আসেন বাবর। সেটার সুফল পায়নি পাকিস্তান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাদ পড়ে গ্রুপপর্ব থেকেই। আর টেস্টে দায়িত্ব নিয়ে সব ম্যাচেই হেরেছেন শান মাসুদ। গত কয়েকদিন ধরেই তাই এই দুই অধিনায়ককে পরিবর্তনের জোর দাবি উঠেছে পাকিস্তান ক্রিকেটে। নতুন অধিনায়কের হিসেবে ইনফর্ম উইকেটরক্ষক ব্যাটার মোহাম্মদ রিজওয়ানের নামও এসেছে এসেছে জোরেশোরে।
তবে এই ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে চাইছেন না পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সভাপতি মহসিন নাকভি। এই সিদ্ধান্ত নেয়ার দায়ভার দলটির দুই হেড কোচ গ্যারি কারস্টেন এবং জেসন গিলেস্পির সিদ্ধান্তের ওপর ছেড়ে দিয়েছিলেন তিনি। এমনকি এই নিয়ে ২২ সেপ্টেম্বর তারিখ বৈঠক হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে। কিন্তু পাকিস্তান ক্রিকেট সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য, কারস্টেন-গিলেস্পি দুজনের কেউই বাবর বা মাসুদের অপসারণ চাইছেন না।
বাবরের নেতৃত্বে সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ৯ ম্যাচের পাঁচটিতে হেরে লিগ পর্ব থেকেই বিদায় নেয় পাকিস্তান। এরপর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে নেমে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে হেরে প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নেয়। বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বশেষ দুই টেস্টে ৪ ইনিংসে সর্বোচ্চ ৩১ রানের ইনিংস খেলেন এই পাকিস্তানি ব্যাটার। একই সিরিজে দলীয় ভরাডুবির পর টেস্টের অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেয়ার কথা ওঠে শান মাসুদকে নিয়েও।
কিন্তু পাকিস্তানের নতুন নিযুক্ত দুই কোচ বলছেন ভিন্ন সুরের কথা। সাদা বলের হেড কোচ কারস্টেন এবং লাল বলের হেড কোচ গিলেস্পির চাওয়া নিজেদের প্রমাণের সুযোগ যেন অধিনায়কদের দেয়া হয়। পাকিস্তান বোর্ডের এক কর্তা পিটিআইকে জানান, ‘অধিনায়কত্ব পরিবর্তন নিয়ে কোনো আলোচনাই হয়নি। পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি অধিনায়কত্ব নিয়ে সিদ্ধান্তের ভার দুই কোচ ও নির্বাচকদের হাতে ছেড়ে দিয়েছেন। শান মাসুদ ও বাবর আজম কেমন অধিনায়ক সে বিষয়ে সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর আগে তাদের লম্বা সময় দেওয়ার বিষয়ে দুই কোচ একমত।’
এদিকে পাকিস্তান ক্রিকেটের বর্তমান অচলাবস্থার সমাধান করতে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর পিসিবির পক্ষ থেকে সংযোগ ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে। এই ক্যাম্পের মূল উদ্দেশ্য পাকিস্তানের আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেটের পর্যালোচনা করা। পিসিবির সেই সভায় পাকিস্তানের দুই কোচ কারস্টেন ও গিলেস্পিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
বোর্ডের সেই কর্তার মন্তব্য, ‘সব স্টেকহোল্ডারদের মতামতের জন্যই কর্মশালার আয়োজন করা হচ্ছে, বিশেষ করে ঘরোয়া দলগুলোর কোচ, নির্বাচক ও কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটারদের। এর উদ্দেশ্য ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মানের পার্থক্য কমিয়ে আনা।’
বিজ্ঞাপন