Sorry, you have been blocked

You are unable to access thailand-u31.com

Why have I been blocked?

This website is using a security service to protect itself from online attacks. The action you just performed triggered the security solution. There are several actions that could trigger this block including submitting a certain word or phrase, a SQL command or malformed data.

What can I do to resolve this?

You can email the site owner to let them know you were blocked. Please include what you were doing when this page came up and the Cloudflare Ray ID found at the bottom of this page.

জোট রাজনীতিতে বড় পালাবদল! বিএনপি না জামায়াত-কার সঙ্গে যাবে এনসিপি?

জোট রাজনীতিতে বড় পালাবদল! বিএনপি না জামায়াত-কার সঙ্গে যাবে এনসিপি?

জোট রাজনীতিতে বড় পালাবদল! বিএনপি না জামায়াত-কার সঙ্গে যাবে এনসিপি?

অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি
অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি

প্রকাশিত: ১০:২১ ১২ অক্টোবর ২০২৫

আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের রাজনৈতিক সমীকরণ দিন দিন জটিল আকার নিচ্ছে। বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী—দুই দলই জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) সঙ্গে রাখতে আগ্রহী। তবে জোটে গেলে লাভ–ক্ষতি কতটা হবে, তা নিয়ে এনসিপির ভেতরে চলছে তুমুল আলোচনা। বিএনপি বা জামায়াতের সঙ্গে একজোট হওয়ার ফলে রাজনৈতিক অবস্থান ও জনমতের ওপর এর প্রভাব কী হতে পারে, তা নিয়েই মূলত এই বিতর্ক।

সম্প্রতি রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত নির্বাহী কাউন্সিলের সভায় এই বিষয়টি ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু। গত শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত এই সভা চলে। দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আখতার হোসেনসহ বেশিরভাগ নেতা উপস্থিত ছিলেন। সভায় অংশ নেওয়া নেতাদের মধ্যে কেউ বিএনপির সঙ্গে নির্বাচনী সমঝোতার পক্ষে মত দিয়েছেন, আবার কেউ জামায়াতের সঙ্গে জোট গঠনের প্রস্তাব তুলেছেন। তবে উপস্থিত বেশিরভাগ নেতা মনে করেন, বিএনপি ও জামায়াতের বাইরে তৃতীয় একটি জোট গড়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়াই এনসিপির জন্য কৌশলগতভাবে লাভজনক হবে।

সভায় নেতারা বলেন, বিএনপি যদি কোনো আসনে ছাড়ও দেয়, তবুও তাদের স্বতন্ত্র প্রার্থী দাঁড়িয়ে গেলে এনসিপির প্রার্থীদের জন্য জেতা কঠিন হয়ে পড়বে। অন্যদিকে জামায়াতের সঙ্গে জোট করলে এনসিপির ওপর একটি নির্দিষ্ট ধর্মীয় মতাদর্শের ‘ট্যাগ’ লেগে যেতে পারে, যা দীর্ঘ মেয়াদে দলের ‘মধ্যপন্থী’ ইমেজকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। একজন সিনিয়র নেতা বলেন, “আমরা যদি সত্যিই একটি নতুন রাজনীতির ধারায় বিশ্বাস করি, তাহলে পুরনো রাজনৈতিক কাঠামোর বাইরে তৃতীয় শক্তি গড়ে তুলতে হবে।”

এনসিপির মিডিয়া সেলের সম্পাদক মুশফিক উস সালেহীন বলেন, “নির্বাহী কাউন্সিলের সভায় নির্বাচনকেন্দ্রিক তৎপরতার পাশাপাশি সাংগঠনিক কার্যক্রমেও গুরুত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহীদের সঙ্গে কথা বলে শিগগিরই দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করা হবে।”

বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি—এই তিন দলই জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে আগ্রহী। তবে সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি নিয়ে বিএনপি ও জামায়াতের অবস্থান কিছুটা ভিন্ন। এই প্রেক্ষাপটে গত ১৮ সেপ্টেম্বর গণতন্ত্র মঞ্চের ছয়টি দলের সঙ্গে বৈঠক করেছে এনসিপি, এবি পার্টি ও গণ অধিকার পরিষদ। ৯ দলের এই উদ্যোগ ভবিষ্যতে নির্বাচনী জোট বা সমঝোতায় পরিণত হতে পারে বলে রাজনৈতিক মহলে জোর গুঞ্জন চলছে।

গণতন্ত্র মঞ্চের অন্তর্ভুক্ত দলগুলো হলো—গণসংহতি আন্দোলন, নাগরিক ঐক্য, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) এবং ভাসানী জনশক্তি পার্টি। এরা আওয়ামী লীগ সরকারের (বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ) বিরুদ্ধে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে ছিল।

এর আগে ১৯ সেপ্টেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত জাতীয় সমন্বয় সভায় এনসিপি নেতৃত্ব সাংগঠনিক বিস্তারেই বেশি জোর দেয়। সভায় নেতাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়, অক্টোবর মাসের মধ্যে দেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করতে হবে। দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরা শারমিন বলেন, “এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি। পরিস্থিতি অনুকূলে এলে জোট বা সমঝোতার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে।”

গণতন্ত্র মঞ্চ ছাড়াও ইসলামপন্থী দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়েছে এনসিপি। সর্বশেষ ৪ অক্টোবর এনসিপি নেতারা বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান। বৈঠকে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি, সংসদের উচ্চকক্ষে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (PR system) এবং জুলাই গণহত্যা ও শাপলা হত্যাকাণ্ডের দায় ইস্যুতেও আলোচনা হয়।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এনসিপির এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো নিজস্ব রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করা। বিএনপি বা জামায়াতের ছায়ায় গেলে দলটি ‘বিকল্প শক্তি’ হিসেবে নিজের গ্রহণযোগ্যতা হারাতে পারে। অন্যদিকে, এককভাবে নির্বাচনে অংশ নেওয়া বা তৃতীয় জোট গঠন করলে এনসিপি মধ্যপন্থী ভোটারদের আকৃষ্ট করতে পারে। একজন বিশ্লেষক বলেন, “বাংলাদেশের ভোট রাজনীতিতে এখন তৃতীয় জোটের জায়গা তৈরি হচ্ছে। এনসিপি যদি সঠিক কৌশল নেয়, তবে তারা এই শূন্যস্থান পূরণ করতে পারবে।”

সারসংক্ষেপে, বিএনপি–জামায়াত উভয়ই এনসিপিকে সঙ্গে রাখার চেষ্টা চালালেও দলটির অভ্যন্তরে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। এনসিপির বড় অংশ মনে করছে, এই দুই পুরনো শক্তির বাইরে তৃতীয় পথেই তাদের ভবিষ্যৎ নিহিত। আগামী নির্বাচনের আগে রাজনীতির এই নতুন সমীকরণে এনসিপির অবস্থান কী হবে—তা নিয়েই এখন রাজনৈতিক অঙ্গনের নজর।

বিজ্ঞাপন

https://moreshopbd.com/