রবিবার , ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ | ৮ পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১:০০ ১ ডিসেম্বর ২০২৪
দীর্ঘ ১৭ বছর বিএনপির নেতাকর্মীরা কেও ঘরে থাকতে পারেনি। প্রায় প্রতিটা নেতাকর্মীই মিথ্যা মামলায় দিনের পর দিন হয় জেলে না হয় পালিয়ে থেকেছে বলে মন্তব্য করেছেন রাজবাড়ীর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম। ৩০শে নভেম্বর, শনিবার ঐতিহাসিক বেলগাছী রেলওয়ে ঈদগাহ ময়দানে আয়োজিত রাজবাড়ী সদর উপজেলার চন্দনী ইউনিয়ন ও খানগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির যৌথ জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন তিনি।
আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়ম বলেন, আজ দীর্ঘ ১৭বছর পর আপনাদের মাঝে হাজির হয়ে এমন জনসমাবেশ করতে পারছি। এই ১৭বছরে এই চন্দনী, খানগঞ্জে আসতে পারি নাই। এত দিন এই চন্দনী ও মিজানপুর ইউনিয়নের নেতাকর্মী একসাথে বসতে পারি নাই, চলতে পারি নাই। প্রতিটা নেতাকর্মী নামে মিথ্যা মামলায় কেও ঘরে থাকতে পারে নাই। দিনের পর দিন থাকতে হয়েছে জেলে, থাকতে হয়েছে পালিয়ে।
তিনি আরো বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনার সহযোগী কাজী ইরাদত আলীর নেতৃত্বে রাজবাড়ী শহরের খলিফা পট্টিতে আমার উপর হামলা হয়। আমি কখনো ভাবি নাই আমার উপর হামলা হবে। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিশাল গণ-অভ্যুত্থানের ফলে শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটে। এই শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আর কখনো কোন দিন মাঠে আসতে পারবে না। শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নের নামে টাকা লুটপাট করেছে, চুরি করেছে। আমাদের নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। এর বিচার বাংলার মাটিতে হবেই হবে।
খানগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আশরাফ হোসেন স্বপন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপির সাবেক শিশু কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক কে এম সাহাদত হোসেনের সঞ্চালনায় উক্ত জনসমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক নঈম আনছারী, সাবেক সদস্য সচিব এ বি এম মুঞ্জুরুল আলম দুলাল,সদস্য কে এ সবুর শাহিন, চন্দনী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জনসভা বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক মোঃ আঃ মালেক শিকদার, জেলা বিএনপির সদস্য অর্ণব নেওয়াজ মাহমুদ হৃষিত, সাবেক ছাত্র নেতা ও বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব মোর নিউজ এর ব্যবস্থপনা সম্পাদক মোঃ জাকির হোসেন সহ জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেত্রীবৃন্দ।
বিজ্ঞাপন