বৃহস্পতিবার , ২১ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:০০ ৩০ জুলাই ২০২৪
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবি পূরণ হওয়ার পর আন্দোলন নিয়ে দোটানায় পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। সরকার মূল দাবি মেনে নেওয়ায় একটি অংশ আর আন্দোলন অব্যাহত রাখতে চাইছে না। তবে পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে নতুন দাবি নিয়ে কর্মসূচি চালিয়ে যেতে চাইছেন অন্যরা। ইতোমধ্যে আন্দোলন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) হেফাজতে থাকা অবস্থায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৬ জন সমন্বয়ক আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন। তবে সমন্বয়কদের এমন ঘোষণা দিতে বাধ্য করা হয়েছে দাবি করে কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার কথা বলছেন আন্দোলনকারীদের প্ল্যাটফর্মটির অন্য কয়েকজন নেতা।
এদিকে, ‘যৌক্তিক আন্দোলনের দাবির মুখে ২৩ জুলাই প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে আংশিক বিজয় অর্জিত হয়েছে’ উল্লেখ করে সারা দেশে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনাসহ একাধিক দাবি জানিয়েছে ‘সাধারণ শিক্ষার্থী মঞ্চ’ নামে নতুন একটি প্ল্যাটফর্ম। যদিও এই প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো সম্পর্ক বা সম্পৃক্ততা নেই বলে জানিয়েছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়করা। অন্যদিকে, কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সমন্বয়করা সংবাদ সম্মেলন করে এই আন্দোলন থেকে সরে আসার ঘোষণা দিয়েছেন। এসব বিষয় শিক্ষার্থীদের দোটানায় ফেলেছে। আন্দোলন নিয়েও সন্দিহান অনেক শিক্ষার্থী।
গত রোববার সন্ধ্যায় ডিবি কার্যালয়ে নিরাপত্তা হেফাজতে থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ, আবু বাকের মজুমদার, আসিফ মাহমুদ ও নুসরাত তাবাসসুম তাদের কর্মসূচি প্রত্যাহারের তথ্য জানিয়ে বিবৃতি দেন। পাশাপাশি তারা একটি ভিডিওবার্তায় আন্দোলন প্রত্যাহারের বিবৃতিটি পড়ে শোনান। এর প্রতিক্রিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন সমন্বয়ক ও সহ-সমন্বয়ক তাদের ফেসবুক টাইমলাইনে পোস্ট করে দাবি করেন, জোর করে ওই বিবৃতি দেওয়ানো হয়েছে। সে কারণে এটি গ্রহণযোগ্য নয়। তাদের মধ্যে ছিলেন সমন্বয়ক আব্দুল কাদের, আব্দুল হান্নান মাসউদ, মাহিন সরকার, সহ-সমন্বয়ক রিফাত রশীদ, আব্দুল্লাহ সালেহীন অয়ন প্রমুখ। এরপর রোববার রাতে সমন্বয়ক আব্দুল কাদেরের স্বাক্ষরে বিবৃতি দিয়ে আন্দোলনকারীরা বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশের ঘোষণা দেন। সে অনুযায়ী গতকাল সোমবার দেশের বেশ কয়েকটি স্থানে সমবেত হন কিছু শিক্ষার্থী।
বিজ্ঞাপন