শুক্রবার , ০১ আগস্ট, ২০২৫ | ১৭ শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ০৬:৪৭ ৩১ জুলাই ২০২৫
কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ রণক্ষেত্রে রূপ নেয়। গতকাল (মঙ্গলবার) বিকেলে মুরাদনগর উপজেলা সদরের আল্লাহু চত্বরে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে হামলা, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনায় পুলিশ, সাংবাদিক ও উভয় পক্ষের সমর্থকসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আসিফ মাহমুদের সমর্থকরা আল্লাহু চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সমবেত হন। সমাবেশ শুরুর কিছুক্ষণ পর পাশের জেলা পরিষদ মার্কেট থেকে হঠাৎ করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। মুহূর্তেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। দুই পক্ষ একে অপরকে লক্ষ্য করে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু করে। এতে রাস্তাজুড়ে শুরু হয় হট্টগোল ও বিশৃঙ্খলা।
আসিফ মাহমুদের পক্ষের অ্যাডভোকেট ওবায়দুল হক অভিযোগ করে বলেন,
“উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিএনপির কর্মীরা আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। সমাবেশে মিছিল নিয়ে আসার পরপরই আমাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এতে আমাদের অর্ধশতাধিক কর্মী-সমর্থক আহত হন।”
অন্যদিকে, মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মহিউদ্দিন অঞ্জন পাল্টা অভিযোগ করে বলেন,
“আমরা শান্তিপূর্ণভাবে দলীয় অফিসে অবস্থান করছিলাম। তারাই (আসিফের সমর্থকরা) আগে ইটপাটকেল ছুঁড়ে হামলা করে। আমাদের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।”
ঘটনাস্থলে থাকা মুরাদনগর থানার তদন্ত কর্মকর্তা আমিন কাদের খান বলেন,
“এনসিপির (আসিফ মাহমুদের দলীয় পরিচিতি) সমর্থনে একটি বিক্ষোভ চলছিল। হঠাৎ কিছু ব্যক্তি বিনা উসকানিতে ইটপাটকেল ছুঁড়ে মারলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়।”
পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পর কিছু সময়ের জন্য এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করলেও বর্তমানে পরিবেশ স্বাভাবিক রয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আসিফ মাহমুদ দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় সক্রিয়ভাবে রাজনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলে সমর্থকরা ব্যাপক প্রচারণায় নামে। এর জের ধরেই হয়ত এ সহিংসতার সূত্রপাত হয়েছে বলে স্থানীয় রাজনৈতিক মহল মনে করছে।
বিজ্ঞাপন