বুধবার , ৩০ জুলাই, ২০২৫ | ১৫ শ্রাবণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:২৯ ২৯ জুলাই ২০২৫
আলোচিত মডেল মেঘনা আলমের মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ ও পাসপোর্টে রাষ্ট্রবিরোধী কোনো তথ্য বা উপাদান আছে কি না, তা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলামের আদালত এই আদেশ দেন।
আদালত তদন্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছেন, এসব জব্দকৃত ডিভাইসের প্রকৃত মালিকানা যাচাই করে এবং রাষ্ট্রবিরোধী কিছু আছে কি না, তা তদন্ত করে আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে।
সেদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন মেঘনা আলম। মাথায় ওড়না, হাতে জায়নামাজ—এক ভিন্ন চেহারায় কাঠগড়ায় দাঁড়ালেন তিনি। তার দুই আইনজীবী, অ্যাডভোকেট মহসিন রেজা ও অ্যাডভোকেট মহিমা বাঁধন, আদালতের কাছে আবেদন করেন—মেঘনার জব্দ করা ম্যাকবুক, ল্যাপটপ, মোবাইল ও পাসপোর্ট যেন তাকে ফেরত দেওয়া হয়।
তবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হারুন অর রশিদ এই আবেদনের বিরোধিতা করে বলেন, “এই মামলা অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর। মামলাটি এখনো তদন্তাধীন। মেঘনা এই ডিভাইসগুলো ব্যবহার করে যাদের ব্ল্যাকমেইল করতেন, তা বের করা জরুরি। তদন্তের স্বার্থেই এসব ডিভাইস এখন ফেরত দেওয়া ঠিক হবে না।”
প্রসঙ্গত, গত ১০ এপ্রিল মেঘনা আলমকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের আটকাদেশ দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। তবে আদালতের নির্দেশে সেই আটকাদেশ বাতিল হয়। পরে ১৭ এপ্রিল ধানমন্ডি থানার প্রতারণা ও চাঁদাবাজির মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। ২৮ এপ্রিল আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন এবং ২৯ এপ্রিল তিনি মুক্তি পান।
মামলাটি এখনো তদন্তাধীন। মেঘনার ডিভাইসগুলোতে রাষ্ট্রবিরোধী কিছু পাওয়া যায় কি না—তা নিয়ে জোর তদন্ত চলছে। আদালতের নির্দেশে এই অনুসন্ধান আরও গভীরভাবে চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিজ্ঞাপন