হুদা কমিশনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, প্রশিক্ষণের নামে সাড়ে ৭ কোটি টাকা লোপাটের অনুসন্ধানে দুদক

হুদা কমিশনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, প্রশিক্ষণের নামে সাড়ে ৭ কোটি টাকা লোপাটের অনুসন্ধানে দুদক

অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি
অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি

প্রকাশিত: ০৩:৪০ ২৯ জুলাই ২০২৫

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ইতিহাসে আলোচিত সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা এবং তার কমিশনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বড় ধরনের দুর্নীতির অভিযোগে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযোগ, প্রশিক্ষণের নামে ভুয়া কর্মসূচি দেখিয়ে খরচ দেখানো হয়েছে সরকারের সাড়ে ৭ কোটি টাকা, যা রাষ্ট্রীয় অর্থের বড় ধরনের অপচয় ও আত্মসাতের শামিল।

সোমবার (২৮ জুলাই) দুপুরে দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের জানান, সাবেক সিইসি কে এম নুরুল হুদা, কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নীতিমালা বহির্ভূতভাবে অর্থ ব্যয়, ভুয়া প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের আয়োজন এবং সরকারি অর্থে ক্ষতির অভিযোগের অনুসন্ধান শুরু হয়েছে।

তিনি বলেন, “একাদশ জাতীয় সংসদ ও পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সময় প্রশিক্ষণের নামে এই অর্থ ব্যয়ের অভিযোগ এসেছে। প্রায় ৭ কোটি ৪৭ লাখ ৫৭ হাজার টাকার ক্ষতির হিসাব মিলেছে প্রাথমিক তদন্তে। পুরো বিষয়টি এখন বিস্তারিত অনুসন্ধানে রয়েছে।”

দুদকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অনুসন্ধান দলের কাজ চলমান। প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্টদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে এবং প্রয়োজনে তথ্য উপস্থাপনের জন্য তাদের তলবও করা হতে পারে। যদি এর বাইরে অন্য কোনো আর্থিক অনিয়ম বা দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া যায়, সেটিও তদন্তের আওতায় আনা হবে।

অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে যেসব প্রশিক্ষণের কথা বলা হয়েছে, তার কোনোটির সুনির্দিষ্ট রেকর্ড বা অংশগ্রহণকারীর উপস্থিতির তথ্য নেই। এমনকি কিছু প্রশিক্ষণের ভেন্যুও ছিল কাগজে-কলমে, বাস্তবে নয়।

নির্বাচন কমিশনের মতো একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান থেকে এ ধরনের গুরুতর অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠে আসায় ইতোমধ্যে রাজনৈতিক ও সামাজিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন উঠেছে—যে প্রতিষ্ঠান সুষ্ঠু নির্বাচনের দায়িত্বে, সেখানে যদি স্বচ্ছতা না থাকে, তবে গণতন্ত্রই বা কতটা নিরাপদ?

দুদক জানিয়েছে, অনুসন্ধান শেষে পর্যাপ্ত প্রমাণ পাওয়া গেলে মামলার প্রক্রিয়া শুরু হবে। তারা এ বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে দেখছে এবং কারো প্রভাবেই তদন্ত প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হবে না বলেও জানান মহাপরিচালক আক্তার হোসেন।

বিজ্ঞাপন