‘শাপলা’ প্রতীক নিয়ে এনসিপি ও নাগরিক ঐক্যের মুখোমুখি অবস্থান

‘শাপলা’ প্রতীক নিয়ে এনসিপি ও নাগরিক ঐক্যের মুখোমুখি অবস্থান

অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি
অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি

প্রকাশিত: ০৭:২৮ ২৪ জুন ২০২৫

জাতীয় প্রতীক হিসেবে পরিচিত ‘শাপলা’ এবার রাজনৈতিক প্রতীক হিসেবে ব্যবহারের জন্য দুইটি দলের মধ্যে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। ‘শাপলা’ প্রতীক চেয়ে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছে নাগরিক ঐক্য ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। উভয় দলই এই প্রতীককে তাদের প্রথম পছন্দ হিসেবে উল্লেখ করায় প্রতীক বরাদ্দ নিয়ে টানাপোড়েন শুরু হয়েছে।

নাগরিক ঐক্যের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা ইতোমধ্যে তাদের বর্তমান প্রতীক ‘কেটলি’ পরিবর্তনের জন্য নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছে। ১৭ জুন জমা দেওয়া আবেদনপত্রে তারা ‘শাপলা’ এবং বিকল্প হিসেবে ‘দোয়েল’ প্রতীক চেয়েছে। দলের দপ্তর সম্পাদক মহিদুজ্জামান মহিদ জানান, কমিশনের সচিব তাদের জানিয়েছেন, জাতীয় প্রতীক হিসেবে গণ্য হওয়ায় এখনই শাপলা বা দোয়েল প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া সম্ভব নয়। তবে ভবিষ্যতে প্রতীক সংযোজনের সুযোগ এলে এই প্রস্তাব বিবেচনায় নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

নাগরিক ঐক্যের দাবি, তারা যেহেতু প্রথমে আবেদন করেছে, তাই নির্বাচন কমিশনের উচিত তাদের প্রাধান্য দেওয়া। দলটি আশা করছে, কমিশন ন্যায্যতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রেখে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।

অন্যদিকে, ২২ জুন দলীয় নিবন্ধনের শেষ দিনে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দল হিসেবে নিবন্ধনের জন্য আবেদন করে এবং প্রতীক হিসেবে ‘শাপলা’, ‘কলম’ ও ‘মোবাইল’ চেয়ে নির্বাচন কমিশনে প্রস্তাব দেয়। দলটির আহ্বায়ক জানান, তাদের প্রথম পছন্দ ‘শাপলা’ প্রতীক। তিনি বলেন, শাপলা হলো জনগণের প্রতীক, গণআন্দোলনের প্রতীক এবং গ্রামীণ জীবনের প্রতীক—এই প্রতীককে সামনে রেখে তারা রাজনীতিতে সক্রিয় হতে চায়।

শাপলা প্রতীক ব্যবহারের যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করে এনসিপির নেতা নাহিদ ইসলাম বলেন, “আমরা নির্বাচন কমিশনের আইন ও বিধান পর্যালোচনা করেছি। সেখানে শাপলা ব্যবহারে কোনো আইনি বাধা নেই। জাতীয় প্রতীক ‘কাঁঠাল’ ইতোমধ্যে একটি রাজনৈতিক দলের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ধানের শীষ, তারা ইত্যাদিও জাতীয় প্রতীকের অংশ হলেও তা রাজনৈতিকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। তাই শাপলার ক্ষেত্রেও একই দৃষ্টিভঙ্গি থাকা উচিত।”

এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তই এখন মুখ্য বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোন দল পাবে শাপলা প্রতীক—এখন পুরো রাজনৈতিক মহল তাকিয়ে আছে কমিশনের চূড়ান্ত ঘোষণার দিকে। একটি জাতীয় প্রতীক নিয়ে দুটি দলের এমন কৌশলী প্রতিযোগিতা নজর কেড়েছে সবার।

 

বিজ্ঞাপন