কলেজে অনুষ্ঠান ঘিরে হাতাহাতি, ছাত্রদল নেতাকর্মীসহ ৬ জন আটক!

কলেজে অনুষ্ঠান ঘিরে হাতাহাতি, ছাত্রদল নেতাকর্মীসহ ৬ জন আটক!

অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি
অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি

প্রকাশিত: ০৭:০১ ২৫ মে ২০২৫

রাজধানীর মিরপুর-১৩ নম্বরে অবস্থিত সাইক কলেজ অব মেডিকেল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনের অনুমতি নিতে এসে কলেজ চেয়ারম্যানের সঙ্গে স্থানীয় ছাত্রদল নেতাকর্মীদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার বিকেলে, যার ফলে কলেজ ক্যাম্পাস ও আশপাশের এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মিরপুর এলাকার কিছু ছাত্রদল নেতাকর্মী কলেজ প্রাঙ্গণে এসে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনের জন্য অনুমতি চেয়ে কলেজ চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এসময় কলেজ কর্তৃপক্ষ রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার কারণে অনুষ্ঠান অনুমোদনে অনীহা প্রকাশ করলে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় শুরু হয়। একপর্যায়ে সেটি ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতির রূপ নেয়।

পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আগেই কলেজ শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দারা যৌথ বাহিনীকে খবর দেন। দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় পুলিশ ও র‍্যাব সদস্যরা। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে ঘটনাস্থল থেকে ছয়জনকে আটক করে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি সূত্র জানিয়েছে, আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং ঘটনায় কারা দায়ী, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ঘটনার বিষয়ে সাইক মেডিকেল কলেজের চেয়ারম্যান বলেন, “আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোনো রাজনৈতিক কার্যক্রম বা অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতি দিতে পারি না। তাঁরা জোর করে অনুষ্ঠান করার অনুমতি আদায় করতে চাইছিলেন, যা আমরা মেনে নিতে পারিনি। তাদের আচরণ ছিল আগ্রাসী ও অশোভন।”

অপরদিকে, ছাত্রদল নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, তারা সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবে কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলেন। তাদের দাবি, কর্তৃপক্ষ অহেতুক তুচ্ছ কারণে তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে এবং মারমুখী আচরণ করেছে। উভয় পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে দায় চাপাচ্ছে।

এ ঘটনার পর কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। অনেকেই বলছেন, শিক্ষাঙ্গনে রাজনীতির অনুপ্রবেশে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এলাকাবাসীরাও এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

ঘটনার বিষয়ে মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানিয়েছেন, “আমরা ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছি। ভিডিও ফুটেজ, প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য এবং অন্যান্য তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করা হচ্ছে। দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

বর্তমানে কলেজে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে এবং পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।

বিজ্ঞাপন