রবিবার , ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ১১ ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ছবি: সংগৃহীত
প্রকাশিত: ০৫:৫২ ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচনের সময় নিয়ে আলোচনা তুঙ্গে উঠেছে, বিশেষত সরকার ও বিরোধী দলের মধ্যে চলমান চাপের কারণে। ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের আশ্বাস পাওয়ার পরেও, বিএনপি তাতে আস্থা রাখতে অক্ষম। তারা তাদের কর্মসূচি অব্যাহত রেখে সরকারের প্রতি চাপ সৃষ্টি করতে চায়। তবে জামায়াতে ইসলামী এই পরিস্থিতি থেকে আলাদা অবস্থানে দাঁড়িয়ে, তারা এখন নির্বাচনের আগে কোনো ধরনের চাপ সৃষ্টি করতে চায় না।
সোমবার বিএনপির প্রধান উপদেষ্টার সাথে বৈঠক হয়, যেখানে তারা সরকারের কাছ থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের আশ্বাস পেয়েছেন। যদিও সরকার নির্বাচনের সময় সম্পর্কে নানা বক্তব্য দিয়েছিল, এখন তারা জানিয়ে দিয়েছে, ডিসেম্বরের মধ্যে প্রস্তুতি নেয়া হবে। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকারের এই আশ্বাসের পেছনে চাপ রয়েছে, এবং বিএনপির আস্থার অভাব তীব্রভাবে ফুটে উঠছে।
বিশ্লেষক মহিউদ্দিন আহমদ মনে করেন, "যদি নির্বাচনের জন্য ন্যূনতম সংস্কার করা হয়, তবেও ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন কঠিন হতে পারে।" এর পাশাপাশি, দেশে বিরোধী দলগুলোর আন্দোলনও বেড়ে গেছে, বিশেষ করে বিএনপির ধারাবাহিক কর্মসূচি সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করছে।
এমন পরিস্থিতিতে, গত কয়েকদিনে বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়ি ও স্থাপনাগুলোর ওপর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে, যা সরকারের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবে এসেছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই সব ঘটনার পর সরকার বিশেষ অভিযান 'অপারেশন ডেভিল হান্ট' শুরু করেছে, যদিও বিরোধী দলগুলি মনে করছে, এটি কেবল সরকারের মুখরক্ষার চেষ্টা।
এমন পরিস্থিতিতে, বিএনপি এবং তাদের সহযোগী দলগুলো নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য সরকারের কাছে নির্দিষ্ট রোডম্যাপ চাইছে। বিএনপির নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, "নির্বাচিত সরকার এলে দেশের সংকটগুলো সমাধান করা সম্ভব।" তারা সরকারের আশ্বাসের অপেক্ষায় থাকলেও, তাদের সন্দেহ এখনও কাটেনি, তাই তারা মাঠে আন্দোলন চালিয়ে যেতে চায়।
সরকারের সঙ্গে নির্বাচনের সময় নিয়ে আলোচনা ও চাপ বৃদ্ধির এই প্রেক্ষাপটে, রাজনীতির বর্তমান পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে উঠেছে, এবং দেশের ভবিষ্যত নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
বিজ্ঞাপন