রবিবার , ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ | ১১ ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
ছবি: সংগৃহীত
প্রকাশিত: ০৭:২২ ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশনের (বিমসটেক) শীর্ষ সম্মেলন আগামী ৪ঠা এপ্রিল থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে সদস্য দেশগুলোর শীর্ষ নেতারা যোগদানে সম্মত হয়েছেন। মঙ্গলবার ঢাকায় বিমসটেক কার্যালয়ে মহাসচিব ইন্দ্র মণি পান্ডে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট এসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডিক্যাব) সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান। বলেন, আগামী ৪ঠা এপ্রিল থাইল্যান্ডে বিমসটেক সামিট হবে। সেখানে সদস্য দেশগুলোর শীর্ষ নেতারা যোগদানে সম্মত হয়েছেন। তবে সাইড লাইনে শীর্ষ নেতাদের একে অপরের সঙ্গে বৈঠক সদস্য দেশগুলো পারস্পরিক আলোচনা করে ঠিক করবে।
ঢাকার একটি কূটনৈতিক সূত্র জানায়, থাইল্যান্ডে বিমসটেক সম্মেলনে যোগ দেবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সম্মেলনে যোগ দেয়ার কথা রয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। সেখানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দেখা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সম্মেলনের সাইড লাইনে ইউনূস-মোদি একান্ত বৈঠকে বসবেন কি-না তা এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঠিক হয়নি। স্মরণ করা যায়, গত বছর সেপ্টেম্বরে ব্যাংককে বিমসটেক সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু থাইল্যান্ডের রাজনৈতিক অস্থিরতায় তা শেষ সময়ে এসে স্থগিত হয়ে যায়। সেই সম্মেলনে অংশ নেয়ার মধ্যদিয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রথম বিদেশ সফর হওয়ার কথা ছিল। বিমসটেক সম্মেলন স্থগিত হওয়ার পর সেপ্টেম্বরে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের সাইড লাইনে ড. ইউনূস-মোদি দেখা হওয়ার কথাবার্তা শুরু হয়েছিল। কিন্তু দুই নেতা একই সময়ে নিউ ইয়র্কে উপস্থিত না থাকার কারণে তাদের মধ্যে বৈঠক বা সাক্ষাৎ হয়নি।
সার্কের সঙ্গে বিমসটেকের কোনো প্রতিযোগিতা বা দ্বন্দ্ব নেই: মহাসচিব
এদিকে ডিকাবের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বিমসটেকের মহাসচিব ইন্দ্র মণি পান্ডে খোলাসা করেই বলেন, ভূ-রাজনৈতিক কারণে যে যাই বলুক না কেন, দক্ষিণ এশীয় সহযোগিতা সংস্থা সার্কের সঙ্গে বিমসটেকের প্রতিযোগিতা বা দ্বন্দ্ব নেই। একই দেশ একাধিক ফোরামে থেকে কাজ করতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, কোনোভাবেই বিমসটেক চীন বা পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোনো প্ল্যাটফরম নয়। মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের উত্তরে বিমসটেক মহাসচিব জানান, সার্ক ও বিমসটেক দু’টিই আঞ্চলিক সংস্থা। একাধিক দেশ সার্ক ও বিমসটেকের সদস্য, আবার কেউ কেউ আসিয়ানের সদস্য।
এক্ষেত্রে কোনো সমস্যা নেই। অন্য প্রশ্নে মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে বিমসটেককে শক্তিশালী করতে কাজ করছে। সে অনুযায়ী বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার থেকে বিমসটেকে আমরা যথাযথ সহযোগিতা পাচ্ছি। বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনকেও আমরা সম্মান করি। আগামী সামিটে বাংলাদেশ বিমসটেকের চেয়ার হতে যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এতে বহুমাত্রিক পরিচয়ের অধিকারী নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের চিন্তা শেয়ার করা এবং তা ইমপ্লিমেন্টের সুযোগ হবে।
মতবিনিময় অনুষ্ঠানে ডিকাবের সভাপতি এ কে এম মঈনুদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান মামুনসহ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞাপন