Sorry, you have been blocked

You are unable to access thailand-u31.com

Why have I been blocked?

This website is using a security service to protect itself from online attacks. The action you just performed triggered the security solution. There are several actions that could trigger this block including submitting a certain word or phrase, a SQL command or malformed data.

What can I do to resolve this?

You can email the site owner to let them know you were blocked. Please include what you were doing when this page came up and the Cloudflare Ray ID found at the bottom of this page.

বায়ুদূষণে বিপর্যস্ত ঢাকার জনজীবন, বাড়ছে রোগ-বালাই!

বায়ুদূষণে বিপর্যস্ত ঢাকার জনজীবন, বাড়ছে রোগ-বালাই!

বায়ুদূষণে বিপর্যস্ত ঢাকার জনজীবন, বাড়ছে রোগ-বালাই!

অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি
অনলাইন ডেস্ক, মোরনিউজবিডি

প্রকাশিত: ০৬:৩৪ ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪

বছর ধরে চলা নির্মাণকাজ, সড়কের খোঁড়াখুঁড়ি আর আবর্জনা পোড়ানোয় দূষিত হচ্ছে বাতাস। বায়ুদূষণে দূষিত রাজধানী ঢাকা। ধুলাবালি, যানবাহন আর কলকারখানার ধোঁয়ায় ঢাকায় বায়ুদূষণ বিরাজ করছে বছরের বড় অংশ জুড়ে।  মাস্ক ব্যবহার করেও দূষণ থেকে রেহাই পাচ্ছে না মানুষ। ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোর চিত্রও প্রায় একই।

বিশেষ করে শিল্পাঞ্চলে গড়ে ওঠা এলাকাগুলোতে বায়ুর মান বেশি খারাপ। গাজীপুর, নারায়াণগঞ্জের মতো এলাকাগুলোতেও বায়ুর মান থাকে ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায়। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের সূচকে প্রায়ই বিশ্বের দূষিত বায়ুর শীর্ষস্থান দখল করে নেয় ঢাকা। দূষণের কারণে বাড়ছে রোগ-বালাই। স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়ছে সব বয়সীর মানুষ। রাজধানীর বায়ুদূষণ রোধে বা প্রতিকারে তেমন কোনো কার্যকর উদ্যোগও নেই সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর। 
আইকিউএয়ারের বাতাসের মানসূচকে গত এক মাসের ১৪ দিনই ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ ছিল ঢাকা। । স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত থাকলে বায়ুমান অস্বাস্থ্যকর, ২০১ থেকে ৩০০ হলে খুবই অস্বাস্থ্যকর  এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা বিপজ্জনক বলে বিবেচিত হয়। গত এক মাসের হিসাবে ঢাকার বায়ুমান ১৫১ থেকে ২৯৯ স্কোরে ওঠানামা করেছে। আইকিউএয়ারের বাতাসের মানসূচকে দেখা যায়, গত নভেম্বরের ১৫, ১৬, ২৩, ২৪, ২৫ ও ডিসেম্বরের ৪ থেকে  ১৪ তারিখে ঢাকার বায়ুমানের স্কোর ছিল ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে।

দেখা যায় রাজধানীর শনির আখড়া, যাত্রাবাড়ী, গুলিস্তান, কমলাপুর, শাহজাহানপুর ও খিলগাঁওসহ বিভিন্ন এলাকায় বায়ুদূষণের বিভিন্ন চিত্র। কমলাপুর, শাহজাহানপুর ও খিলগাঁও এলাকায় মেট্রোরেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণযজ্ঞ চলছে। নির্মাণ সামগ্রীর ধুলাবালিতে দূষিত হচ্ছে সেখানকার পরিবেশ। রাতে বালুবহনকারী ট্রাকগুলোও ঢাকার বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ। যাত্রাবাড়ী এবং জুরাইন এলাকা হয়ে ঢাকার বাইরে থেকে প্রতিদিন শতশত ট্রাক বালু নিয়ে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় আসে। এসব ট্রাক থেকে শহরের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে বালু, উড়ে বেড়ায় বাতাসে। এছাড়া অপরিকল্পিত এই নগরায়নের এই শহরে বিল্ডিং তৈরির কাজ, ইটের ভাটা, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, বিভিন্ন নির্মাণ কাজে নিয়ম না মানা, যত্রতত্র বর্জ্য পোড়ানো, পর্যাপ্ত তদারকির অভাব ইত্যাদি ঢাকা বায়ুদূষণের অন্যতম কারণ।

সিটি করপোরেশন তাদের নিজস্ব ব্যবস্থায় আগে পানি ছিটালেও এখন তা দেখা যায় না। যাত্রাবাড়ীর বাসিন্দা সুমাইয়া রহমান কুমিল্লা ইস্টার্ন মেডিকেলের একজন চিকিৎসক। তিনি জানিয়েছেন, যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে প্রতিদিন অসংখ্য যানবাহন বিভিন্ন জেলায় যাতায়াত করে। এতে সারাক্ষণই যানবাহনের ধোঁয়া, ধুলাবালিতে আচ্ছন্ন থাকে এলাকাটি। ধুলাবালির কারণে আমাদের তাৎক্ষণিক হাঁচি, কাশি, সর্দি ও এলার্জিজনিত সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। শীতকালে বেশির ভাগ সময়ই বাড়ির জানালা-দরজা বন্ধ করে রাখলে ঘরে আলো-বাতাস চলাচল হয় না। কিন্তু দরজা-জানালা খুললে ধুলাবালি ঘরেও ঢুকে যায়। আমাদের বাসাবাড়ি নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে হচ্ছে। তারপরও বায়ুদূষণের কারণে নানা রোগ-জীবাণু হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে হচ্ছে ডায়াবেটিকস, এইড্‌স আক্রান্ত রোগী, শিশু, ট্রাফিক পুলিশদের।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী মোর নিউজকে  বলেন, বায়ুদূষণে মানুষের শরীরে নানাভাবে বহুমাত্রিক প্রভাব ফেলে। দূষণ বায়ু গ্রহণের কারণে নানা ধরনের শ্বাসতন্ত্র রোগ হাঁচি, কাশি, নিউমোনিয়া, হাঁপানি ইত্যাদি হয়। দীর্ঘদিন দূষিত বাতাসে শ্বাস নেয়ার কারণে ফুসফুসের ক্যান্সার হতে পারে। এটি ছোট-বড় সবার ক্ষেত্রে হয়ে থাকে তবে ছোটদের ক্ষেত্রে নিউমোনিয়া এবং শ্বাসের টান বেশি হয়। 
এই বিশেষজ্ঞ বলেন, পৃথিবীতে হার্ট অ্যাটাকে মারা যাওয়া মানুষের মধ্যে চার ভাগের এক ভাগ হচ্ছে বায়ুদূষণের জন্য। বায়ুদূষণ আমাদের স্মায়ূতন্ত্রকে প্রভাবিত করে, মস্তিষ্ককে প্রভাবিত করে এবং এর প্রভাবে মেজাজ খিটখিটে থাকে। যে কোনো কাজে সঠিকভাবে মনোযোগ দেয়া যায় না। ব্লাড প্রেসার বেড়ে যায়, হার্টের উপরে চাপ পড়ে। এছাড়া দূষিত বায়ু থেকে বিভিন্ন ধরনের ভারি সিসা বা ভারি ধাতব পদার্থ এটি আমাদের শরীরের ভিতরে শোষিত হয়ে যায় বা ফুসফুসের মধ্য দিয়ে। তাছাড়া লিভার, কিডনিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। গর্ভস্থ শিশুর ওজন বৃদ্ধি ব্যাহত ও অসময়ে গর্ভপাতও হয় দূষিত বায়ুর কারণে।

স্টেট অব গ্লোবাল এয়ার ২০২৪’ শীর্ষক এ প্রতিবেদনে বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাপী বাতাসের মানের উদ্বেগজনক অবস্থা তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুরা বায়ুদূষণজনিত রোগের শিকার হয়ে থাকে। এর প্রভাবে অপরিণত অবস্থায় জন্মগ্রহণ, কম ওজন নিয়ে জন্মগ্রহণ, হাঁপানি ও ফুসফুসের রোগসহ বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যগত সমস্যা দেখা দেয়। বাংলাদেশে ব্যাপক হারে ওজোন গ্যাসের উপস্থিতি রয়েছে, যা বায়ুদূষণজনিত রোগের অন্যতম কারণ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালে বিশ্বব্যাপী ওজোন-সম্পর্কিত ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিসঅর্ডার (সিওপিডি) জনিত ২ লাখ ৩৭ হাজার মৃত্যু হয়েছে ভারতে, চীনে ১ লাখ ২৫ হাজার ৬০০ এবং বাংলাদেশে ১৫ হাজার জনের মৃত্যু হয়েছে।

বায়ুদূষণজনিত রোগ থেকে উত্তরণের জন্য বায়ুদূষণের মাত্রা কমিয়ে আনার পরামর্শ দিয়ে লেলিন চৌধুরী বলেন, ঢাকাতে বায়ুদূষণের প্রধান উৎস হচ্ছে- নির্মাণ কাজ। ছোট-বড় মেগা প্রজেক্টসহ সমস্ত নির্মাণ কাজ থেকেই এই দূষণটা হয়ে থাকে। এছাড়া মটরযান থেকে নির্গত যে বাতাস-ধোঁয়া এগুলো থেকেও বায়ু দূষিত হয়। এটাকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ফিটনেস ওয়ার্ক এবং এটি কমানোর এবং ফুচিং ফুয়েল কমানোর জন্য উদ্যোগ নিতে হবে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে একটি সুসংগঠিত রূপ দিতে হবে। জনগণকে সচেতন করতে হবে। কেন্দ্রীয় সরকার, স্থানীয় সরকার এবং জনগণকে মিলে একটা উদ্যোগ নিতে হবে। সেই উদ্যোগে কতগুলো জায়গা খুবই গুরুত্বপূর্ণ রয়েছে। অমরা দেখি রাস্তাঘাটে ছোট ছোট যে পান-সিগারেটের দোকান তার চারপাশে নোংরা থাকে এগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

https://moreshopbd.com/