বৃহস্পতিবার , ২১ নভেম্বর, ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১:২৪ ১ অক্টোবর ২০২৪
কফির জনপ্রিয়তাকে খেয়াল রেখে ২০১৪ সালে ১ অক্টোবরকে আন্তর্জাতিক কফি দিবস হিসাবে ঘোষণা করে আন্তর্জাতিক কফি সংস্থা (আইসিও)। ২০১৫ সালে ইতালিতে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক কফি দিবস উদযাপিত হয়।
সকাল বেলার এক কাপ কফি পান যেন দিনের শুরুকে করে তোলে সতেজ। দিনটা মেঘলা হোক কিংবা ঝলমলে রোদ, প্রকৃতির দোলাচলে নিজেকে চাঙ্গা করতে কফির তুলনা নেই।
যদিও পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি কফির উৎপাদন হয় ব্রাজিলে, তবে কফি পানের দিক থেকে এগিয়ে আছে ফিনল্যান্ডের মানুষ।
পানীয় হিসাবে কফি রয়েছে বিশ্বে জনপ্রিয়তার শীর্ষে। কফির উচ্চমাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং বেশ কিছু উপকারী উপাদানের জন্য কফি অনেক রোগের ঝুঁকি কমাতে সক্ষম।এছাড়া শরীরে অতিরিক্ত চর্বি কমাতে প্রাকৃতিক উপাদানের মধ্যে ক্যাফেইন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত কফি পান হরমোন এপিনেফ্রিন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। এতে শারীরিক কর্মক্ষমতা, পেশি শক্তি এবং সামগ্রিক ধৈর্য বৃদ্ধিতে সহায়ক। ফলে বিষণ্নতা-উদ্বেগের বিরুদ্ধে লড়াই করে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়।
অন্যদিকে কফিতে থাকা ক্যাফেইন শরীরের ডোপামিনের নিঃসরণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবে নিউরনের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায় ও শরীরের ক্লান্তি ভাব অনেকটা কমে যায়।
এমনকি,রুপচর্চাতেও কফির জুড়ি মেলা ভার ।ত্বকের যত্নে কফি ভালো স্ক্রাবের কাজ করে। রোদে পোড়া ত্বক ও অ্যান্টিরিংকেল দূর করতে কফি চমৎকার কাজ করে। চুলের যত্নে সপ্তাহে অন্তত একদিন কফি পানিতে ফুটিয়ে সেই পানি চুলে লাগালে অতিরিক্ত চুল পড়া কমে যায় এবং রুক্ষতা কমিয়ে চুলের উজ্জ্বলতাও ফিরে আসে।
সারা পৃথিবীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের দেশেও দিন দিন বেড়ে চলেছে কফির গুরুত্ব। গড়ে উঠছে অনেক ক্যাফে। আর সেখানে পাওয়া যাচ্ছে নানা রকমের কফি। আন্তজার্তিক কফি দিবসে প্রিয়জনের সঙ্গে কফির ঘ্রাণে দিনটিকে সতেজ রাখতে শহরের কফি হাউসগুলো দিচ্ছে বিভিন্ন ছাড়।এর মধ্যে কয়েকটি হলো নর্থ এন্ড কফি,ক্লাউড কফি,দ্য হোয়াইট ক্যানারি,খানা’স,ডেলিফ্রান্স বেকারি অ্যান্ড কফি,কোল অ্যান্ড কফি ইত্যাদি হাউজগুলো। একটি কিনলে আরেকটি বিনা মূল্যে কফি পানের সুযোগ, মূল্যছাড়, গেম খেলে কফি জিতে নেওয়ার সুযোগসহ রয়েছে আরও অনেক কিছু।
বিজ্ঞাপন